সিলেটপোস্টরিপোর্ট:নারীর প্রতি যে কোন ধরনের নিপীড়ন এবং নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে প্রতিবাদের পাশাপাশি আন্দোলন অব্যাহত রাখতে হবে। যৌন নিপীড়কদের উৎখাত করতে নতুন আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। সম্মিলিত প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলে সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। গতকাল বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচীতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের বর্বর হামলার প্রতিবাদ জানাতে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ছাত্রঐক্য।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শম্পা বসু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, জাতীয় গণফ্রন্টের সভাপতি টিপু বিশ্বাস, নারী সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল মরিয়ম তানিয়া, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হাসান তারেক।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, কোন জায়গায় যদি নারীর ওপর যৌন নিপীড়ন হয় সেটা প্রতিরোধ করতে হলে সম্মিলিত প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলে সেটা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন. বিএনপি-আওয়ামী লীগ কেউ এখন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমরা লড়াইয়ের মধ্যে ছিলাম, লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আমাদের বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে।