সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এক আলোচনা সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগানটি খণ্ডিত উচ্চারণ করায় মঞ্চে উপবিষ্টরা বিব্রত বোধ করেন। অনেকে উসখুস করতে থাকেন, একে অপরে কানাকানি করেন।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে বক্তব্য দেয়ার জন্য নাম ঘোষণা করা হয়। তিনি মঞ্চে ওঠে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন। বক্তব্য শেষ করেন ‘জয় বাংলা বলে।
‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি দল মত নির্বিশেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেলেও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ অংশটি যুক্ত করে এখন পুরো স্লোগানটি দলীয় রূপ নিয়েছে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটি আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী বক্তৃতা শেষে উচ্চারণ করে থাকেন। এ কারণেই দলীয় অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল পরের অংশটি উচ্চারণ না করাতেই যতো গোল!
পেশাজীবীদের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের ওই মুহূর্তে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং সামনের সারিতে বসা পেশাজীবীরা একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করেন। ফিসফিস করে কানে কানে কথাও বলেন অনেকে!
অবশ্য অ্যাটর্নি জেনারেল তার বক্তৃতায় নেত্রীর প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরত, প্রগতির যে চাকা দেশকে এগিয়ে নেবার জন্য, যে উদ্দেশ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, যে চেতনায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, তার সবই ভণ্ডুল হয়ে যেত।’ শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যার্তনকে তিনি ঐশ্বরিক আশীর্বাদ বলেও উল্লেখ করেন।
আওয়ামী লীগপন্থি পেশাজীবীদের সংগঠন ‘পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের’ উদ্যোগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিমকোর্টের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সংগঠনটি।
সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এএম মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রমুখ।