সিলেট পোস্ট রিপোর্ট: কণ্ঠশিল্পী আসিফ নিজের ফেসবুকের ভেরিফাইড করা পেইজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। আসিফের স্ট্যাটাসটি পাঠদের হুবহু জন্য তুলে ধরা হলো:
ভুলে যাওয়া আমাদের জাতীয় অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। দগদগে ক্ষত গুলো ঝকঝকে করে ফেলি খুব দ্রুত। প্রতি দিন নতুন নতুন ব্যাথা যুক্ত হয়, উপশম তো দূরের কথা, পুরনো ব্যাথা গুলো সংহত রেখেই আবারো নিত্য নতুন ব্যাথায় অভ্যস্ত হয়ে যাই। এই জাতি এর পরিমান ভোগ করবে এভাবেই। যত ইতিহাস,ঐতিহ্য, কৃষ্টি, নৈতিকতা শুধু লেকচারে সীমাবদ্ধ ।
প্রতিদিন বারোটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পড়ি। টপ অব মাইন্ড বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্বত্ত কিনে তাৎক্ষনিক ভাবে বেচে দিয়েছে প্রান এবং রবির কাছে। ভেবেছিলাম জাতির বিবেকের ঝাণ্ডা ধারী পত্রিকাগুলো জাতিকে টপ অব মাইন্ডের পোষ্ট মোর্টেম রিপোর্ট তুলে ধরবে। নাহ- ক্রীড়া সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ অজানা সমঝোতায়। চলছে চলুক লুটপাটের মহোৎসব। আমরা স্টেডিয়ামে গিয়ে হাততালি দিবো আর চোর গুলোর চেনা মুখ দেখবো পর্দায়।
মাত্র দুই লক্ষ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে। সারা বিশ্বে ভারতীয়রা প্রভাব নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আশ্চর্যজনক ভাবে ভারতের টোটাল রেমিটেন্স অর্জনে পাঁচ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। ফোন কোম্পানীগুলোর ভারতীয় এজেন্ট অন মোবাইল থেকে শুরু করে গার্মেণ্ট সহ সব সেক্টরে তাদের আধিপত্য। ইংরেজি জানা চামচা কর্পোরেট বাংলাদেশীরা চামচামী করে তাদের নিজেরটা বুঝে নিচ্ছে, দেশ যাক জাহান্নামে। বিশ্বাসঘাতকরা উঠে যাবে তথাকথিত সমাজের উঁচু স্থানে, পাবলিক মরবে জলে ডাঙ্গায়। তারা খুঁজবে সেকেন্ড হোম।
চোর ডাকাতের খনিতে সয়লাব বাংলাদেশে আরো অনেক কিছু দেখার জন্য বেঁচে আছি। কতদিন বাঁচতে পারবো সেটা মুখ্য নয়, কতদিন তাদের শীড়পীড়া দিয়ে যেতে পারবো সেই লক্ষ্যে আছি। সাহারার জায়গায় তাহারা ঢুকে গেছে। টপ অব মাইন্ড লুটে খাক, টিভি পত্রিকা নিপাত যাক।