সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্চে। সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে সুরমা ও কুশিযারা নদীর পানি। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী উপজেলা গোয়াইনঘাট,জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অনেক গ্রাম। ডুবে গেছে সিলেট-সালুটিকর-গোয়াইনঘাট সড়কের কয়েকটি অংশ। এ কারনে সড়কের সালুটিকর-গোয়াইনঘাট অংশে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।এছাড়া বন্যায় কোম্পানীগঞ্জ,জাফলং,শ্রীপুর ও বিসনাকান্দি পাথর কোওয়ারী তলিয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ শ্রমিক।এদিকে,শনিবারের টানা বৃষ্টি হওয়ায় নগরীর অন্তত ৭০ এলাকায় দেখা দিয়েছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।শনিবার বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলকা ঘুরে দেখা গেছে, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি দেখা দিয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার অন্ততঃ ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। কাঁচা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে পাঁচ হেক্টর জমির মৌসুমী সবজি ক্ষেত ও আমন বীজ তলা।জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার তিনটি, জৈন্তাপুর উপজেলার চারটি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তিনটি, কানাইঘাট উপজেলারর তিনটি ও জকিগঞ্জ উপজেলার চারটিসহ প্রায় ১৯টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আলী আহমদ জানান, বাড়ির চারিদিকে পানি উঠায় রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাইরে বের হতে পারছি না। পানি আরো বাড়তে থাকলে বিপদে পড়বো।জৈন্তাপুরের দরবস্ত ইউনিয়নের কৃষক করিম আহমদ জানান, আমার এক বিঘা ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ক্ষেত থেকে আর কোনো সবজি তুলতে পারবো না। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।জৈন্তপিুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া জানান, টানা বর্ষনে তার ইউনিয়নের দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষনে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
সিলেট পোস্ট ২৪ ডট কম
: জুন ১৩, ২০১৫ | ৬:১৬ অপরাহ্ন
« « পূর্ববর্তী
পরবর্তী » »