সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দোষীদের বাদ দিয়ে নিরীহ মানুষের নাম চার্জশিট দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। শনিবার বিকালে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং লাখেরপাড় নয়াবস্তি গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. বিলাল আহমদ।বিলাল জাফলংয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও তিনি সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সদস্য। স¤প্রতি একটি মহলের ইশারায় থানার কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে তাকে পরপর দু’টি মামলার আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।বিলাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার নেতৃত্বে জাফলং রাস্তার পাশ্ববর্তী ও বনবিভাগের জায়গায় স্থাপিত স্টোনক্রাসার মেশিন উচ্ছেদে অভিযান চালায় ট্রাস্কফোর্স। অভিযানকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে স্টোনক্রাশার মালিক-শ্রমিকরা। এ ঘটনায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম ফেরদৌস ইসলাম বাদি হয়ে ৩৫ জনের নামোলেখ করে অজ্ঞাত ৩/৪শ’ জনকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায় মামলা(নং-১০(১২)’১৪) দায়ের করেন। থানার ওসি আব্দুল হাই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই ইউনুছ আলীকে।তিনি জানান, তদন্তকালে এসআই ইউনুছ আলী এজাহার নামীয় ৩৫ আসামির ২৫ জনকেই অভিযোগপত্রে বাদ দিয়ে দেন। এমনকি বাদির এজাহারে বর্ণিত প্রথম ছয় আসামিকেও (১ থেকে ৬) অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়ে ১০জনকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো ১৩ জন নিরীহ মানুষকে আসামী করে চার্জশীট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।যারা প্রত্যক্ষভাবে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলো তাদের আসামি না করে ছেড়ে দেওয়া হয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর ধারণা মামলাটি তদন্তকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইউনুছ এই মামলা দিয়ে কোটি টাকার বানিজ্য করেছেন। তাই অভিযোগপত্রটি আদালত এখনো আমলে নেননি।
নিজেকে নির্দোষ জানিয়ে বিলাল বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত না থাকার পরও আমাকে আসামি করা হয়েছে। তাকে শুধু আসামী করা হয়নি। তার মতো আরো অনেক নিরীহ লোকজনকে আসামী করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।তিনি জানান, মামলার ১নং আসামিসহ যারা প্রত্যক্ষ হামলাকারী তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামীদের ভিডিও ফোটেজও রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, হামলার ঘটনার ফোটেজ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে। সেই ফুটেজেও ওইসব এজাহার নামীয় আসামিদের দেখানো হয়েছে। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে এসছে তারা নির্দোষ!বিলাল জানান, তিনি জাফলংয়ে পাথর ব্যবসা করে ভালভাবে জীবন যাপন করছেন। কোনো ধরণের অন্যায়ের সাথে তিনি আপোষ করেনি। যে কারণে কতিপয় লোক তাকে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে।এছাড়াও গত বছর পুলিশ প্রশাসনের লোক দিয়ে তাকে মামলায় ঢোকানোর হুমকী দেওয়া ছিলো বলে জানিয়েছেন তিনি। পরে তাকে একটি মামলায় আসামীও করা হয়েছিল। ওই ঘটনাটিও ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। পরবর্তীতে বাদি নিজে আদালতে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই বলে বক্তব্য দেন। এরপর তিনি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিলাল।সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত ছিলেন- জাফলংয়ের বাসিন্দা রুবেল আহমদ, বিলাল আহমদ ও রানা মিয়া। তাদের মধ্যে রানা মিয়া শুরু এজহারভূক্ত আসামী ছিলেন।