সংবাদ শিরোনাম
সিলেটেের আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবস্থারও অবনতি  » «   সিলেট নগরীতে ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে, সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা  » «   সিলেটে আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে নিযে সোশ্যাল মিভিযায তোলপাড়  » «   রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট থেকে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী  » «   খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না: মির্জা ফখরুল  » «   খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সিরাজনগরে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্কের উদ্বোধন  » «   সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে ৬টি বালুভর্তি নৌকা আটক  » «   ৪৫ বৎসর পর রুট শিন্নি অনুষ্টান পালন করল মিটাভরাং মজলিশপুরবাসী  » «   সিলেট বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ  » «   তামাবিল মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা  » «   দেশের কৃষকদের উন্নয়নে শহীদ জিয়া অবদান অপরিসিম: আনিসুল হক  » «   জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত  » «   মাস্ক পরে গোপনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা আটক  » «   দোয়ারাবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে ডিসি  » «   সমাজ সেবক ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কাদিরকে সংবর্ধনা প্রদান  » «  

সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা বলেই ফখর হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা

unnamedসিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেট সদরের মোগলগাঁওয়ে ফখর হত্যাকান্ডের চার বছরেও কুল কিনারা নেই মামলার। বারবার মামলাটি বিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে ঘাতকরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত ২০১২সালের ৯ অক্টোবর রাতে জবাই করে খুন করা হয় লন্ডন প্রবাসীর বাড়ির কেয়ারটেকার ফখর কে জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন লামা আকিলপুরের লন্ডন প্রবাসী হাজী সূরুজ মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন একই এলাকার কেমিদপুরের সমর আলীর পুত্র ফখর উদ্দিন। একই গ্রামের ভুমিখেকো কাওসার ও মনফর প্রবাসী হাজী সুরুজ মিয়ার সহায় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছিল। এনিয়ে কয়েকটি মামলা-জিডি ও এলাকায় একাধিক সালিশও হয়েছিল। কিন্তু কেয়ারটেকার ফখরের কারনে তারা সফল হতে পারছিল না। কাওসার ও মনফরের গলার কাটা হয়ে যাওয়ায় তারা ফখরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক কাওসার, তার ছেলে আবুল ও মনফরসহ তাদের লোকজন রাতের আঁধারে একাকী ঘরে ফখরকে জবাই করে হত্যা করে। ঘটনার পর ফখরের পিতা সমর আলী বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যামামলা (নং-১২(১০)১২) করেন। পুলিশ নিহত ফখরের পোষাকসহ ঘাতক আবুলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। আবুল আদালতে ১৬৪ধারায় ফখর হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। জবানবন্দীতে সে তার পিতা কাওসার,চাচা মনফরসহ হত্যাকান্ডে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। অবলীলায় প্রকাশ করে হত্যাপরিকল্পনার মূল কারন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রথম দফার তদন্তে ঘাতক কাওসার ও ভাইয়েরা মামলা থেকে পার পেয়ে যায়। জালাবাদ থানা পুলিশ আদালতে ১৬৪ধারায় দেয়া আবুলের জবানবন্দী আমলে না নিয়ে কাওসার-মনফরসহ মূল ঘাতকদের বাদ দিয়ে এলাকার নিরীহ দিনমজুর লোকদের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর প্রতিবাদে নিহত ফখরের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করে আদালতে নারাজি দাখিল করেন। নারাজি গ্রহন করে আদালত মামলাটি সিলেট মেট্রোডিবির তদন্তে দেন। তখন থেকে সিলেট মেট্রোডিবির একজন কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। কিন্তু এখানে বেঁেধ গেছে গোল। ঘাতক কাওসার নিজেকে মুািক্তযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি ও নিরীহ লোকদের অভিযুক্ত করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শাসকদলের স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু নেতা ও হোতাও এ বিষয়ে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। বাধ্য হয়ে নিহত ফখরের পিতা রোববার (২০সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রবরাবরে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে কাওসার ও তার ভাই মনফরকে মামলা থেকে অব্যাহতি না দিয়ে মামলাটির সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.