সংবাদ শিরোনাম
গণতন্ত্র হত্যাকারীরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে আ,লীগ নেতা মুকিদের বিরোদ্ধে প্রবাসী মহিলার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ!  » «   শান্তিগঞ্জের টাইলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনমুজুরের বসতভিটা দখল করেছে ভূমিখেকোচক্র  » «   সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ  » «   সিলেটসহ ২৫ জেলার নতুন ডিসিদের কর্মস্থলে যাওয়া মানা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিফিং স্থগিত  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণগেল স্ত্রীর   » «   সিলেটের শাহপরাণ (রাহ.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে গভীর রাতে ওরসপন্থীদের সংঘর্ষ  » «   সারাদেশের সাত বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু  » «   সিলেটে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন পি. কে. এম এনামুল করিম  » «   গোলাপগঞ্জে নির্দোষ ব্যক্তিকে আন্দোলনের মামলায় আসামি দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  » «   ব্যক্তিগত স্বার্থের জেরে শরীফপুর ইউপিতে তালা, ভেঙে ফেলল বিক্ষুব্ধ জনতা  » «   নবীগঞ্জে দখলদারদের কবলে ডেবনা নদী উপর ঘর-বাড়ি! অল্প বৃষ্টি বা বন্যার পানি আসলেই তলিয়ে যায় এলাকা  » «   দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  » «   বিচার করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের,কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে- সিলেটে আল্লামা মামুনুল হক  » «  

সিলেটে মুক্তিযোদ্ধা বলেই ফখর হত্যাকান্ড ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা

unnamedসিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেট সদরের মোগলগাঁওয়ে ফখর হত্যাকান্ডের চার বছরেও কুল কিনারা নেই মামলার। বারবার মামলাটি বিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ নিহতের স্বজনদের। মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে ঘাতকরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত ২০১২সালের ৯ অক্টোবর রাতে জবাই করে খুন করা হয় লন্ডন প্রবাসীর বাড়ির কেয়ারটেকার ফখর কে জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ থানাধীন লামা আকিলপুরের লন্ডন প্রবাসী হাজী সূরুজ মিয়ার বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন একই এলাকার কেমিদপুরের সমর আলীর পুত্র ফখর উদ্দিন। একই গ্রামের ভুমিখেকো কাওসার ও মনফর প্রবাসী হাজী সুরুজ মিয়ার সহায় সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছিল। এনিয়ে কয়েকটি মামলা-জিডি ও এলাকায় একাধিক সালিশও হয়েছিল। কিন্তু কেয়ারটেকার ফখরের কারনে তারা সফল হতে পারছিল না। কাওসার ও মনফরের গলার কাটা হয়ে যাওয়ায় তারা ফখরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক কাওসার, তার ছেলে আবুল ও মনফরসহ তাদের লোকজন রাতের আঁধারে একাকী ঘরে ফখরকে জবাই করে হত্যা করে। ঘটনার পর ফখরের পিতা সমর আলী বাদী হয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি হত্যামামলা (নং-১২(১০)১২) করেন। পুলিশ নিহত ফখরের পোষাকসহ ঘাতক আবুলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়। আবুল আদালতে ১৬৪ধারায় ফখর হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দেয়। জবানবন্দীতে সে তার পিতা কাওসার,চাচা মনফরসহ হত্যাকান্ডে জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। অবলীলায় প্রকাশ করে হত্যাপরিকল্পনার মূল কারন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রথম দফার তদন্তে ঘাতক কাওসার ও ভাইয়েরা মামলা থেকে পার পেয়ে যায়। জালাবাদ থানা পুলিশ আদালতে ১৬৪ধারায় দেয়া আবুলের জবানবন্দী আমলে না নিয়ে কাওসার-মনফরসহ মূল ঘাতকদের বাদ দিয়ে এলাকার নিরীহ দিনমজুর লোকদের কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এর প্রতিবাদে নিহত ফখরের স্বজনরা সংবাদ সম্মেলন করে আদালতে নারাজি দাখিল করেন। নারাজি গ্রহন করে আদালত মামলাটি সিলেট মেট্রোডিবির তদন্তে দেন। তখন থেকে সিলেট মেট্রোডিবির একজন কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। কিন্তু এখানে বেঁেধ গেছে গোল। ঘাতক কাওসার নিজেকে মুািক্তযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি ও নিরীহ লোকদের অভিযুক্ত করার হীন প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। শাসকদলের স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু নেতা ও হোতাও এ বিষয়ে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। বাধ্য হয়ে নিহত ফখরের পিতা রোববার (২০সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার রবরাবরে একটি আবেদন করেন। আবেদনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে কাওসার ও তার ভাই মনফরকে মামলা থেকে অব্যাহতি না দিয়ে মামলাটির সুষ্টু ও নিরপেক্ষ তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.