সংবাদ শিরোনাম
সিলেটেের আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড: আধ্যাত্মিক ও সামাজিক অবস্থারও অবনতি  » «   সিলেট নগরীতে ছিনতাই আতঙ্ক বাড়ছে, সর্বস্ব কেড়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠছে ছিনতাইকারীরা  » «   সিলেটে আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে নিযে সোশ্যাল মিভিযায তোলপাড়  » «   রিজেন্ট পার্ক রিসোর্ট থেকে ১৬ তরুণ-তরুণীকে আটক করে বিয়ে দিয়েছে এলাকাবাসী  » «   খেলাধুলার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক থাকা উচিত না: মির্জা ফখরুল  » «   খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সিরাজনগরে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনা নেটওয়ার্কের উদ্বোধন  » «   সুনামগঞ্জের ধোপাজান নদীতে ৬টি বালুভর্তি নৌকা আটক  » «   ৪৫ বৎসর পর রুট শিন্নি অনুষ্টান পালন করল মিটাভরাং মজলিশপুরবাসী  » «   সিলেট বিমানবন্দর থেকে লন্ডন যাওয়ার সময় অভিনেত্রী নিপুণকে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ  » «   তামাবিল মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হাইওয়ে থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা  » «   দেশের কৃষকদের উন্নয়নে শহীদ জিয়া অবদান অপরিসিম: আনিসুল হক  » «   জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত  » «   মাস্ক পরে গোপনে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাতা বার্ষিকী পালন করতে গিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এক নেতা আটক  » «   দোয়ারাবাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে ডিসি  » «   সমাজ সেবক ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতা কাদিরকে সংবর্ধনা প্রদান  » «  

জগন্নাথপুরের সেই নববধূ জেল হাজতে

index_83645সিলেটপোস্টরিপোর্ট:ছাতকের অধিবাসী এক নতুন জামাতা জগন্নাথপুরের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। অচেতন অবস্থায় ঐ জামাতা পরে উদ্ধার হলেও ঐ ব্যক্তির নব পরিণীতা স্ত্রী এখনো জেল হাজতে রয়েছেন।জানা যায়, ছাতক শহরের ফকির টিলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী লিলু মিয়ার একমাত্র পুত্র ও ছাতক সিমেন্ট কারখানার চাকুরীজীবী কাজী জাহেদ মিয়ার সাথে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইসহাকপুরের মৃত তেরা মিয়ার মেয়ে নাজমা আক্তার নাসরিনের বিয়ে হয় গত ১১ সেপ্টেম্বর। সামাজিক রীতি অনুযায়ী ১৩ সেপ্টেম্বর নতুন জামাতা নববধূকে নিয়ে ‘ফিরা যাত্রায়’ যান শ্বশুরালয়ে। ১৫ সেপ্টেম্বর নববধূসহ জাহেদ মিয়ার নিজ বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও ঐ দিন শ্বশুরালয় থেকে তিনি আকস্মিক নিখোঁজ হয়ে যান। মোবাইল ফোনে সংবাদ পেয়ে পিতা কাজী লিলু মিয়া জগন্নাথপুরে ছুটে গিয়ে থানায় একটি জিডি করেন। ছেলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও নববধূর কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হলে লিলু মিয়া ছেলে অপহরণের অভিযোগ এনে নববধূ, নববধূর মা ও ভাইসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় মামলা (নং-০৯, তাং-১৭/০৯/১৫ইং) দায়ের করেন। পুলিশ ওই দিনই নববধূ নাজমা আক্তার নাসরিন ও সহোদর রিপন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের ৪ ঘন্টার মধ্যে তিনদিন আগে নিখোঁজ হওয়া নতুন জামাতা জাহেদ মিয়াকে আহত, নেশাগ্রস্ত ও অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় স্থানীয় সরকারী দলের এক নেতার বাড়িতে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিকে কখন-কোথা থেকে এনে ওই নেতার বাড়িতে রাখা হয়েছিল-তা তিনি জানেন না। তিনি আরো জানান, শারীরিকভাবে অসুস্থ ও অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য জগন্নাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আটককৃত নববধূ ও তার ভাই রিপন মিয়াকে প্রেরণ করা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে।এদিকে, জাহেদ মিয়ার পিতা মুক্তিযোদ্ধা লিলু মিয়া জানান, তার ছেলে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল। কোনদিন সে ধুমপান পর্যন্ত করেনি। তিনি অভিযোগ করেন, অশুভ উদ্দেশ্যে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে ছেলেটি প্রাণে বেঁচে আছে। তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন, বিবাদীরা ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ এবং জগন্নাথপুর হাসপাতালের ডাক্তারদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, জাহেদ মিয়া সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত নিখোঁজের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন সম্ভব নয়।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.