সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটে সন্ত্রাসী পুত্র ও তার সহযোগীদের হামলায় মা ও মামা গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলায় ভেঙ্গে গেছে মামার ডান হাত।এঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলেও দীর্ঘ দেড়মাসেও মামলা নিচ্ছেনা পুলিশ। শাসকদলীয় ক্যাডারদের বাঁধায় পুলিশ মামলা নিতে পারছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সন্ত্রাসী পুত্রের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন গর্ভধারিনী ওই মা। গত ৩ অক্টোবর সিলেট এয়ারপোর্ট এলাকাধীন কুনিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, সিলেট এয়ারপোর্ট থানার সাহেববাজার এলাকার কুনিপাড়ার মাশুক মিয়া স্ত্রী,১ছেলে ও ৪মেয়ে রেখে মারা যান। ছেলে আলীম উদ্দিন বিয়ে করে মার পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যায়।পরে এলাকার সন্ত্রাসীদের সাথে মিশে নানা অপরাধ অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়ে। মা ও বোনদের খোজ খবর না নিয়ে উল্টো তাদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতন-নিপীড়ন। সহযোগী সন্ত্রাসীদের সাথে বোনদের বিয়ে দিতে বিভিন্ন সময় চাপ দিতে থাকে সে।মা ও বোনেরা তার কথামত না চলায় সে ও তার সহযোগীরা তাদেরকে মারপিটসহ নানাভাবে হয়রানী করতে থাকে। গত ৩ অক্টোবর বিকেলে সন্ত্রাসী পুত্র আলীম উদ্দিন সহযোগীদের নিয়ে মা আশিকুন বিবিকে(৪৫) বেদম মারপিট করতে থাকে।মার আর্তচিৎকারে পাশের ঘর থেকে মামা মক্তার আলী এগিয়ে আসলে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মামার ডান হাত ভেঙ্গে দেয় আলীম উদ্দিন। এ ঘটনায় মা আশিকুন বিবি সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় ছেলে আলীম উদ্দিন সহ ৪জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক আলীমকে আটক করলে শাসকদলীয় ক্যাডারারা রাস্তা থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়।পাশপাশি এয়ারপোর্ট থানার ওসিকেও শাসিয়ে দেয়া হয় সরকারদলের পক্ষ থেকে। ফলে পুত্রের নির্যাতনের বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন গর্ভধারিনী মা ও মামা। নির্যাতিতা মা সন্ত্রাসী পুত্রের নির্যাতনের বিচার চেয়ে দীর্ঘ দেড়মাস থেকে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
অভিযোগের ব্যাপারে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি গৌছুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি থানার রেকর্ড না দেখে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।