সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপিদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছে।জানা গেছে, বরগুনা-২ আসনের সংসদ শওকত হাছানুর রহমান রিমন হেলিকপ্টারে করে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন পৌঁছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে বেতাগী পৌরসভার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এ ঘটনায় অন্যান্য দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ করেন।স্থানীয়রা জানায়, বরগুনা-২ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শওকত হাছানুর রহমান রিমন বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র নিয়ে হেলিকপ্টার যোগে বেতাগী আসেন। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টার দিকে বেতাগী হাইস্কুল মাঠে নামেন। সেখান থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন করে উপজেলা চত্বরে তার অফিসে যান। এরপর মেয়র প্রার্থী এবিএম গোলাম কবিরের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন।এদিকে হেলিকপ্টার যোগে মনোনয়নপত্র আনায় এমপির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি অন্য মেয়র প্রার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেতাগী পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার দুলাল তালুকদার বলেন, সংসদ সদস্য হাছানুর রহমান কীভাবে এসেছেন আমি দেখিনি। তবে অভিযোগ পেলে এটি আচরণ বিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।অন্যদিকে ধামরাইয়ে মনোনয়নপত্র জমাদানের দিনেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছে। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) তার সঙ্গে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পদের প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাঠে জমায়েত হন। ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা মনোনয়পত্র জমা দেয়ার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মালেকসহ দলের অন্য নেতারা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে প্রবেশ করেন।জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য মহোদয় আমার কক্ষে এসেছিলেন। কিন্তু কার সঙ্গে এসেছিলেন তা জানি না। তাছাড়া তিনিতো আর নির্বাচনী প্রচারণা চালাননি।