সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।আহত ছাত্রলীগ কর্মীর নাম তরিকুল ইসলাম সোহাগ। তিনি হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী রাহিদুল ইসলাম রিংকুকে মারধর করেন ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ। এ ঘটনায় সোহাগ ও রিংকু নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সন্ধ্যায় সোহাগ তার পাঁচ-ছয় জন সহযোগীসহ বঙ্গবন্ধু হলের সামনে যান।এসময় সেখানে রিংকু ও বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান খান নাহিদের সঙ্গে তাদের কথাটাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাহিদ, রিংকু ও ছাত্রলীগ কর্মী লাবণের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মী সোহাগকে বেধড়ক মারধর করেন।এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া রাবি ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক অনিক সাহার নেতৃত্বে সোহাগের গ্রুপের ১০-১২ জন কর্মী বঙ্গবন্ধু হলের সামনে আসলে দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। পরে হল গেটে থাকা পুলিশ সেখানে গেলে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা চলে যায়।
গুরুতর আহত সোহাগকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রডের আঘাতে সোহাগের মাথা ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তিনি হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতা অনিক সাহা বলেন, ‘রিংকুর সঙ্গে সোহাগের ঝামেলা ছিল। সেটা মিমাংসা করতে ওরা সোহাগকে ডেকেছিল। হলের সামনে গেলে ওরা অতর্কিত সোহাগের ওপর হামলা করেছে।’ছাত্রলীগ কর্মী ইমরান খান নাহিদ বলেন, ‘ওরা বাইরের ছেলেপেলে নিয়ে হলের সামনে এসেছিল। আমাদের ওপর হামলা করায় আমরাও পাল্টা মারধর করেছি। আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।’রাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মেহেদি হাসান রাসেল বলেন, ‘আমি চিল্লাপাল্লার শব্দ পেয়ে যেয়ে দেখি ওদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।’