সিলেট পোস্ট রিপোর্ট :চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শহরের ফার্মপাড়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের পিটুনিতে অটোরিকশাচালক টুটুল আহমেদ ওরফে টোটন (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে টোটনের শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পলাতক রয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত টোটন উপজেলার ফার্মপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়ার অটোরিকশাচালক টুটুল আহমেদ টোটনের সঙ্গে তিন বছর আগে একই এলাকার ভ্যানচালক নুরু আলীর মেয়ে নাজমা খাতুনে বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান হয়। কয়েকমাস আগে টোটনের স্ত্রী নাজমা দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবা নুরু আলীর বাড়িতে গিয়ে ওঠে এবং যৌতুক দাবির মামলাও করে স্বামীর বিরুদ্ধে। বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী টুটুল আহমেদ টোটন স্ত্রীকে নিজের বাড়ি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলেন। শনিবার রাত ৯টার দিকে টুটুল জোর করে তার স্ত্রীকে আনার জন্য শ্বাশুরবাড়িতে যায়। শ্বশুর বাড়িতে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে গুরুতর আহত করে টুটুলকে। রাতেই তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।