সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :আইএসআইএল বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে আরাকানে প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় সীমান্তজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী ‘বর্ডার গার্ড পুলিশ’ (বিজিপি)। আরাকানের কিছু সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অবস্থান নিয়েছে বলেও জানা গেছে। খবর বার্মা টাইমসেরগত ২৩ ডিসেম্বর মিয়ানমারের পত্রিকা বার্মা টাইমস এ খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আইএসকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের গোয়েন্দারা নাকি সহায়তা করে।
মংডুর উত্তরের তাইমব্রোতে গত সপ্তায় দুই বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, বিজিপি নয়, বরং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তবে সরকারিভাবে কেউ এর দায় স্বীকার করেনি।মিয়ানমারের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্মা টাইমস জানায়, আইএস জঙ্গি আসতে পারে এমন সন্দেহে শত শত সেনা সদস্য অবস্থান নিয়েছেন পাহাড় ও জঙ্গলে। সোমবার সৈন্যরা এই অবস্থান নিয়েছেন। আর সৈন্যদের অবস্থান করতে নাফ নদীতে স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে আইএসের সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি।
মিয়ানমারের একজন স্বাধীন বিশ্লেষক বলেন, আরাকানে কোন আইএসের অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশ সরকারও তাদের দেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে সাফ জানিয়েছেন। বাংলাদেশে ধীরে ধীরে আইএসের শাখা প্রসারিত হচ্ছে পশ্চিমাদের এই অভিযোগেরও বাস্তবে কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমারা বাংলাদেশে আইএস আছে বলে যে অভিযোগ করেছেন তা আদৌ যথাযথ নয়। বাংলাদেশের গোয়েন্দারা আইএসকে সহায়তা করছেন এমন দৃষ্টান্ত নেই। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অতিরিক্ত চাপে রাখতেই আইএসের নামে গল্প বানানো হচ্ছে। আইএসের অস্তিত্ব বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না এটি একটি কাল্পনিক।বাংলাদেশের সীমান্তে সেনা মোতায়েন করার পরে সোমবার থেকে নাফ নদীতে সকল পারাপার বন্ধ। নাফ নদী ছোট মাছের নৌকায় পরিপূর্ণ থাকলেও সৈন্য মোতায়েনের মধ্যদিয়ে তা খালি হয়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে আইএস নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।