সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :একশ বছর বা তার চেয়ে বেশি দিন বাঁচতে চাইলে খেতে হবে সঠিক খাবার। আমাদের দৈনন্দিন খাবারই নির্ধারণ করে কে কতদিন বাঁচব। একজন ব্যক্তির গড় আয়ু ধরা হয় ৬০ বছর।
কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাবার একজন মানুষের সার্বিক সুস্থতা তো নিশ্চিত করেই, পাশাপাশি আয়ুও ধরে রাখে কমপক্ষে একশ বছর পর্যন্ত। খাবার গুলো হল,
১. মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে পটাশিয়াম। যা উচ্চরক্তচাপ কমায়। এর মধ্যকার ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও হাড়ের সুস্থতা বজায় রাখে। কোষের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক একটি উপাদান এটি।
২. স্যালমন
স্যালমন ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস। এই এসিড ইরেগুলার হার্টবিট, রক্তচাপ ও ধমনীতে ফ্যাট জমতে দেয় না। ওমেগা-৩ উত্তম ব্রেইন ফুড হিসেবেও পরিচিত। যা ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
৩. ব্লুবেরি
ব্লুবেরি আয়ু বাড়ায়! ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ এ ফলে আরো রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি রেডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। ফ্রি রেডিক্যালস আমাদের কোষ ধ্বংস করে। এটি ক্যান্সারের উদ্দীপক হিসেবেও চিহ্নিত। এছাড়াও ব্লুবেরি হৃদরোগ, স্ট্রোক ও স্মৃতিভ্রংশতা রোধ করে।
৪. টকদই
টকদইয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া যা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সঠিকভাবে কাজ চালাতে সাহায্য করে এবং রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষায় প্রহরীর কাজ করে। টকদই খাবার ভালোভাবে হজমে ও খাবার থেকে পুষ্টি শুষে নিতে শরীরকে সাহায্য করে।
এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা দেহের সার্বিক দেখাশোনা করে। পেটের যেকোন সমস্যা ও ইউরিনারি ইনফেকশনের সহজ সমাধান দই।
৫. তুলসি ও পুদিনা
তুলসি ও পুদিনাতে রয়েছে লিউটিওলিন নামক একটি উপাদান। যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে ও স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
৬. অলিভ অয়েল
দেখে মনে না হলেও অলিভ অয়েল খাদ্যের পাওয়ার হাউজ বলে বিবেচিত। রান্নায় ও সালাদে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে আপনিও পারেন আপনার রেসিপিকে আরো স্বাস্থ্যকর করে তুলতে। এটি অন্যান্য স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মতো ধমনী সংকীর্ণ করে না। এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এ তেল ফ্রি রেডিক্যালসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। অলিভ অয়েল ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।