সংবাদ শিরোনাম
ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার বিচার দেশের মাটিতেই হবে : এমরান চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে ছাত্র দল নেতা নুনু স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট মহানগর কৃষকদলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  » «   ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: কয়েস লোদী  » «   ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ অন্যায় ও জুলম থেকে মুক্তি পেয়েছেন-ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন  » «   নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন  » «   মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত থাকায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষ আটক  » «   জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপি জনগণের পাশে আছে : আব্দুর রাজ্জাক  » «   ৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «  

একটু বেশি বাড়িয়ে ফেলেছি বেতনটা, সেজন্য এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি: প্রধানমন্ত্রী

1সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :বেতন কাঠামো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচির কড়া সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দেয়া বক্তব্যে শিক্ষকদের প্রতি ঈঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, “যে তুলনা কোনো দিন হয় নাই, সে তুলনা করা মানে নিজেদের ছোট করা।” তিনি বলেন, “এতো কিছু দেওয়ার পরও কোনো কোনো মহলের তৃপ্তি কেনো হলো না- এটা আমার বোধগম্য হলো না।”“সব জায়গায় ক্ষুদ্র এক একটা গোষ্ঠী,” উষ্মার সঙ্গে বলেন তিনি।তিনি বলেন, “পেটে যখন ক্ষুধা থাকে তখন মানুষ অল্পতেই সন্তুষ্ট হয়। যখন ক্ষুধার জ্বালা দূর হয়ে যায় আর বেশি প্রাচুর্য পেয়ে যায় তখন প্রেস্টিজ, ন্যায়, সম্মান, পদায়ন নানা কথা স্মরণে আসে।“মনে হয় একটু বেশি বাড়িয়ে ফেলেছি বেতনটা। সেজন্য এখন প্রেস্টিজ নিয়ে টানাটানি।”এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল ইস্যুতে ছাত্রদের আন্দোলনেরও সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেল ঠেকাতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেট্রো রেল সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় তারা আন্দোলন করছেন।অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এক পর্যায়ে দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করা হলেও বেতন কাঠামোর গেজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।দাবি আদায়ে গত ৩ জানুয়ারি থেকে কালো ব্যাজ পরে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। ১১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা রয়েছে তাদের।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সবাইকে নিজের চাকরি নীতিমালা মেনে চলার তাগাদা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “যে যেখানে চাকরিতে যায় সে সেখানকার নীতিমালা মেনেই তো সেখানে যায়। সব কিছু তো একটা ডিসিপ্লিনে চলতে হবে। এখন কার সাথে কার তুলনা?”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে মেট্রোরেলের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,“এগুলো (নকশা পরিবর্তন) করতে গেলে পুরো প্রজেক্টটা নষ্ট হবে।সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবে।“যারা ইউনিভার্সিটিতে পড়বে তারা তো ৩/৪ বছর পড়ে চলে যাবে। সাধারণ মানুষের যে কষ্টটা, সে কষ্টটাতো থেকে যাবে। সে কষ্টের ভোগান্তিটা কেনো মানুষকে দেবেন?”গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে ‘মেট্রোরেলের রুট বদলাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাও’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও এ কর্মসূচিতে সংহতি জানান।উন্নয়ন বন্ধ করাই এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য- মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “হঠাৎ দেখি একটা আন্দোলন। এটা তো হঠাৎ করে না, কয়েক বছরের কাজ।এটাকে বাধাগ্রস্ত করা মানে এর কাজ মুখ থুবড়ে পড়বে।”মেট্রোরেল হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের জিন প্রকৌশল, সিএসই, অণুজীব বিজ্ঞান ও সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ বিভাগ সরাসরি হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি রাজু ভাস্কর্যও তার চিরচেনা সৌন্দর্য হারাবে বলে দাবি করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এই ট্রেনের শব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও দোয়েল চত্বরের পাশে অবস্থিত বিজ্ঞান লাইব্রেরিতে লেখাপড়া ব্যাহত হবে বলেও দাবি তাদের।তাদের শঙ্কা নাকচ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তির সাউন্ড সিস্টেম কন্ট্রোল করা হবে। সে জ্ঞানও তাদের নেই। সে খবরটাও তারা রাখেন না।”ছাত্রদের আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পড়ার ইচ্ছা থাকলে মানুষ সুযোগ করেই নেয়। আর, যদি ইচ্ছা না থাকে, তাহলে ছুতা অনেক পাওয়া যায়। পড়ার ইচ্ছা থাকলে পড়া যায়। ট্রেনে চলতে চলতে তো মানুষ পড়ে।বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার কতটুকু ক্ষতি হয় সে প্রশ্ন তুলে শেখ হাসিনা বলেন, “তারা যেখানে বসবাস করে সেখানে তো দিনরাত কনস্ট্রাকশনের কাজ হচ্ছে। সেখানে পড়ছে না?”এই প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরোধিতা থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদের কাছ থেকে আমরা অর্থ ধার নিচ্ছি তারা অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেবে। আর উন্নয়নটা হবে না।”“আমার উন্নয়নের কাজে কেউ দয়া করে বাধা দেবেন না।” এই বলে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.