সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট :কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আর চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ফের হামলার আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আবদুল আউয়াল সোহেল জানান, ১ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকার সবুজ তার তিন বন্ধু সজীব, নাজমুল হাসান ও রাজনকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে তারা এক নারী চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চার ইন্টার্নি চিকিৎসক তাদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২ জানুয়ারি থেকে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে যান। এর মধ্যে ৬ জানুয়ারি রাতে আবার হাসপাতালে প্রবেশ করে ইন্টার্নি চিকিৎসক ডা. সজীবুল হককে মারধর করা হয়।ইউরোলজি বিভাগের রোগী আবুল কালাম জানান, ৩-৪ দিন ধরে কোনো চিকিৎসক আসছেন না। নার্স ডেকে এনে পরামর্শ নিতে হচ্ছে। ৫০০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি আছে আট শতাধিক রোগী। সবার জিজ্ঞাসা, কবে শেষ হবে এ অচলাবস্থা।বিএমএ কুমিল্লার সভাপতি ডা. গোলাম মহিউদ্দীন দীপু বলেন, বারবার চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় সবাই আতঙ্কিত। তাই আমরা জেলাব্যাপী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছি। শনিবার থেকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পুলিশ ফাঁড়ি, প্রতি ওয়ার্ডে সশস্ত্র আনসার এবং হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছি। দাবি মানা না হলে পরবর্তীতে বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম জানান, চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় উপাধ্যক্ষ কে.এ মান্নানকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ইন্টার্নি চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. বাছেদ আহমেদ সরকার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. আবদুর রব জানান, এ ঘটনায় রাজন, সবুজ, সজীব, নাজমুল হাসানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, হাসপাতালের অচলাবস্থার বিষয়টি শুনেছি। রোববার হাসপাতালে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করব।