সংবাদ শিরোনাম
সিলেট মহানগর কৃষকদলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ  » «   ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: কয়েস লোদী  » «   ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় দেশের জনগণ অন্যায় ও জুলম থেকে মুক্তি পেয়েছেন-ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন  » «   নির্বাচন নিয়ে যে কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ রুখে দেবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন  » «   মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত থাকায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষ আটক  » «   জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপি জনগণের পাশে আছে : আব্দুর রাজ্জাক  » «   ৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «  

দুবাইতে প্রজাপতি বাগান, মরুর বুকে অনন্য এক সৃষ্টি

02নিউজ  ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই অঞ্চলের স্বাভাবিক তাপমাত্র ৫০ ডিগ্রি। এই তাপে একটি সাধারণ প্রাণীকে সহজভাবে জীবনযাপন করাতে যেখানে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়, সেখানে অধিক তাপমাত্রা উপেক্ষা করে বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে প্রজাপতির বাগান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্য নগরী দুবাইতে গড়ে তোলা এই বাগানে শোভা পাচ্ছে হরেক রকমের প্রজাপতি। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা দর্শনার্থীরা দুবাই এলে একবার একবার হলেও ঢু মারেন এই বাগানে।
বাগানকে সাজানো হয়েছে শ্রেণী বিন্যাস করে। আমিরাতের শাসক থেকে শুরু করে অনেকের ছবি বানানো হয়েছে প্রজাপতি দিয়ে। এমন  প্রাকৃতিক বাগান দেখে মুগ্ধ  আগত বিভিন্ন দেশের দর্শনার্থীরা। ওখানে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন শ্রমিকরাও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে কোন স্থান থেকে সহজে দুবাইয়ের দক্ষিন আল বারশাহস্থ দুবাই ল্যান্ডের মিরাক্কল গার্ডেনের পাশে অবস্থিত এ প্রজাপতির বাগানে ঘুরে আসতে পারেন যে কোন পর্যটক। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৫.৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে এ বাগান।সংযু্ক্ত আারব আমিরাতের মরু প্রান্তরে যেখানে আপনি একটি প্রজাপতির দেখা পাবেন না সেখানে কৃত্রিমভাবে সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিনোদনের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে প্রজাপতির এ বাগান। বাগানের প্রবেশ পথে আপনাকে আগাম জানান দেবে ফুল দিয়ে সাজানো প্রজাপতিগুলো। আপনি আমিরাতে ৫০ দিরহাম দিয়ে যখন টিকিট নিয়ে প্রবেশ করবেন তখন আপনার মনে হবে আপনি একটি প্রজাপতির সমারোহে প্রবেশ করছেন। মূল ফটক পার হয়ে ঢুকে পড়বেন প্রজাপতির পাপড়ি দিয়ে সাজানো সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকদের ছবি। পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য রয়েছে নানা প্রজাতির সাজানো মৃত প্রজাপতি। এ ফটক পার হলে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে প্রাকৃতিক প্রজাপতির বাগান। বাগানে প্রজাপতির সাথে নানা জাতের পাখিও শোভা পায়। মরুর বুকে এমন আয়োজন দেখে হয়ত ভুলে ভেবে বসবেন আপনি আসছেন চির সবুজ কোন বনে।

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের মাঝে জার্মানি থেকে আসা দর্শনার্থী জর্জ হেগে ও মিসেস হেগে বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৪ বছরের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন তারা; কিন্তু এটার মতো  প্রাকৃতিক প্রজাপতির বাগান কোথাও দেখেননি। তারা এটা দেখে মুগ্ধ। এটার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জীবের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। ইদানীং মানুষ বনাঞ্চল উজাড় করে জীবের বাসস্থান বিলুপ্ত করছেন। এই বাগান দেখে মানুষের মনে তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার বাসনা জন্মাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।
আমেরিকার পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রফিকুল ইসলাম পলাশ দেশে আসার পথে দুবাই ভ্রমণ করতে এসে এমন প্রজাপতির বাগান দেখে আত্মহারা হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, দুবাইতে এমন একটি নেচারাল বাগান সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। আমাদের দেশেও এমন একটি বাগান করলে মানুষের মনে প্রকৃতির প্রতি অগাধ প্রেম সৃষ্টি হবে। প্রকৃতি নিধন থেকে মানুষ বিরত থাকবে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রজাপতি দেখা গেলেও মরু অঞ্চলের কোথাও প্রজাপতির দেখা মেলা ভার। এখানে কাজ করে প্রতিদিন নিত্যনতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে পেরে বেশ উৎফুল্ল প্রজাপতি বাগানে কর্মরত শ্রমিকেরা। তারা মনে করেন, এটা কোনো কাজ নয়, যেন স্বর্গবাস। এই বাগানের শ্রমিকদের ৬০ ভাগই বাংলাদেশি। তারা এই প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশে অহরহ প্রজাপতি দেখা যায়, তা কিন্তু সীমিত প্রকার। এখানে একসাথে হরেক রকমের প্রজাপতি দেখাশুনা করা ও যত্ন নিতে পারা সত্যিই আনন্দের।
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিলুপ্ত হতে চলছে নানা প্রজাতির প্রাণী। বিলুপ্ত প্রাণীদের সংরক্ষণ করে মানুষকে সচেতন করার জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এসব প্রায় দুর্লভ প্রজাপতি। প্রাথমিকভাবে শখের বশে করলেও এখন বাণিজ্যিক রূপ পেয়েছে এই প্রজাপতির বাগান। দুবাই বাটারফাই গার্ডেনের এমডি প্রকৌশলী আবদেল নাছের ইয়াছিন রেহাল বলেন, তার আগামীর পরিকল্পনায় রয়েছে ব্যয়বহুল প্রজাপতির এই বাগান বিশ্বের অন্যান্য স্থানে গড়ে তোলা। তিনি আশা করেন, এই উদ্যোগ দেখে সবাই এগিয়ে আসবে হারিয়ে যাওয়া প্রাণিদের সংরক্ষণে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.