সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::গত ৩রা এপ্রিল সুনামগঞ্জের একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন ও সদর মডেল থানায় মশিউর রেজা টিংকু স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ২টায় সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাক,ট্যাংক,লরি ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক শহরের মল্লিকপুরস্থ নতুন বাসস্ট্রেশনের শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাক,ট্যাংক,লরি ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মো. নুর উদ্দিন।
তিনি লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করেন,গত ৩রা এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ শহরের ওয়েজখালীস্থ বলাকা পেট্রোল পাম্পের সত্বাধিকারী মশিউর রেজা টিংকু ও তার বড়ভাই মাহবুবুর রহমান কর্তৃক আমাদেরকে জড়িয়ে সত্ব দখলীয় জায়গায় বিনা অনুমতিতে রাতের অন্ধকারে ঘর বানানো,দশ লাখ টাকা চাদাঁ দাবী,অবৈধ অস্ত্র বের করে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা এবং অন্যত্র চলে যাওয়ার যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে আমাদের সংগঠনের মান সম্মান ক্ষুন করে হয়রানি করা হচ্ছে। তারা এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা দাবী করেন যে জায়গাটি নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এই জায়গাটি সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে জায়গাটুকু মৌখিখভাবে নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটি টিনসেডের ঘর বানিয়ে সংগঠনের শ্রমিকদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বলে দাবী করেন।
তারা আরো বলেন,প্রতিপক্ষরা এখন শহরের ওয়েজখালীস্থ মসজিদের জায়গাটুকু সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিকট হতে গোপনীয়ভাবে লীজ নেওয়ার পায়তাঁরা করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। তারা এমন মিথ্যা সংবাদ প্রচার ও থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদ জানান এবং বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিবেচনায় নিতে পুলিশের উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাক,ট্যাংক,লরি ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুস সামাদ, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আঞ্চলিক ট্রাক,ট্যাংক,লরি ও কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মছব্বির মিয়া,সাধারন সম্পাদক আব্দুল জাহান,সহ সাধারন সম্পাদক গোপাল মালাকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবু খালেদ মাছুম প্রমুখ।