চুনারুঘাট প্রতিনিধি::চুনারুঘাট বাজারে দিন-দুপুরে টমটম চালক কে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করার ঘটনায় চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি জামাল হোসেন লিটন, তার ভাই জয়নাল হোসেন রিপন ও তার ছেলে তানভীর হোসেন দ্বীপু কে আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের নামে মামলা করেছে আহত সুমনের ভাই রিপন মিয়া।
(৬ আগষ্ট)রবিবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এর আদালতে মামলা দায়ের করেন রিপন মিয়া।বিজ্ঞ আদালত মেডিক্যাল রির্পোট তলব সহ চুনারুঘাট থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফার উপস্থিতিতে চুনারুঘাট পৌরর এলাকার জামাল হোসেন লিটন ও তার ছেলে তানভীর দীপুর নেতৃত্বে সুমন মিয়া (৩০) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। আহত যুবক সুমন মিয়া সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।সে উপজেলার আমকান্দি গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর পুত্র।
আহত সুমন এর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে চুনারুঘাট বাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চুনারুঘাট পৌর এলাকার জামাল হোসেন লিটন ও তার পুত্র তানভীর দীপুর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী যুবক সুমন মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে। তার মাথা সহ শরীরের সংবেদনশীল অংশে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
এ সময় চুনারুঘাট থানার ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান মতে পুলিশ এ সময় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
তবে ওসি তদন্ত গোলাম মোস্তফা বলেন, তিনি একটি হত্যা মামলা তদন্তে যাচ্ছিলেন,পথিমধ্যে মারামারির ঘটনা দেখতে পানন।সেখানে দুই শতাধিক লোকের হাতে লাটি ও দেশিয় অস্ত্র ছিল।তিনি একার পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব হয়নি।তারপরও তিনি উপস্থিত না থাকলে আরো বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারতো।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী বলেন,কোন পুলিশ সদস্যের আসকারা বা সহযোগীতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।