সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতেই ৪ জন নির্দোষ ব্যক্তিকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন দিরাইয়ের হোসেনপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ মশাহিদ আলীর স্ত্রী সানোয়ারা বেগম। তিনি লিবিয়া প্রবাসী শাহিনকে না পেয়ে তার আত্মীয় হওয়ার কারণে তাদের অযথা হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলি ইউনিয়নের পাড়ারগাঁও গ্রামের মৃত রঙ্গম আলীর ছেলে ও কলকলিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. হারুন মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, ‘সম্প্রতি সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সস্মেলনে দিরাইয়ের হোসেনপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ মশাহিদ আলীর স্ত্রী সানোয়ারা বেগম তার বক্তব্যে আমাকে এবং একই গ্রামের এরশাদ আলীর ছেলে চন্দন মিয়া (৬৩) ও তোতা মিয়া (৬৮) এবং ইসহাক আলীর ছেলে শাহজাহানকে (৩৫) জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তার স্বামী মশাহিদ আলীকে ৭ লাখ টাকা চুক্তিতে লিবিয়া হয়ে ইত্যালি পাঠানোর ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। লিবিয়ায় তাকে জিম্মি করে মৃত ইসহাক আলীর ছেলে লিবিয়া প্রবাসী শাহিন তাদের কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে তাও আমাদের অজানা। এসব আলাপ-আলোচনার সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ মশাহিদের মৃত্যুর পর তিনি শাহিন ও তার স্ত্রী এবং শাহিনের ব্যবসায়িক পার্টনার, লাল মিয়ার ছেলে মো. রুকন মিয়ার পাশাপাশি আমাদেরকেও দায়ী করেছেন। এমনকি, আমাদের মানবপাচারকারী হিসাবে উল্লেখ করে মান-সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি, কোনোদিন পারবেনও না। কারণ, ঘটনার সাথে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
হারুন মিয়া বলেন, ‘আমি একজন ব্যবসায়ী। চন্দন ও তোতা মিয়ারও ক্ষেত-খামার আছে। আর শাহিনের ভাই হলেও শাহজাহানের সাথে তার বাড়ির লোকদের বা ভাইদের কোনো সম্পর্ক নেই ১৮/২০ বছর ধরে। শাহজাহান সিলেট শহরে থেকে চাকরি করে নিজের জীবন চালাচ্ছেন। তার স্ত্রীও নার্সিং পেশায় জড়িত। আমাদের প্রত্যেকেরই সামাজিক একটা অবস্থান আছে এবং শাহিন বা তা ব্যবসা বাণিজ্যের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে হারুন, চন্দন, তোতা ও শাহজাহান জানান, শাহিনকে ধরতে না পেরে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন সানোয়ারা ও তার আত্মীয়-স্বজন। এমনকি তারা হারুন, চন্দন, তোতা ও শাহজাহানের উপর চাপ সৃষ্টি এবং সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন অভিযোগ করছেন সানোয়ারা ও তার স্বজনরা।
সংবাদ সম্মেলনে মৃত মশাহিদ আলীর স্ত্রী-সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে সানোয়ারা বেগমের উদ্দেশ্যে হারুন, চন্দন, তোতা ও শাহজাহান বলেন, ‘আমাদের ৪ জনকে জড়িয়ে যে মিথ্যা বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। একই সাথে ভবিষ্যতে এমন মিথ্যা অভিযোগ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন একই গ্রামের অধিবাসী মো. কবির আহমদ, মো. ছাব্বির আহমদ ও মো. সৈয়দুল ইসলাম।