সিলেটপোস্ট ডেস্ক::চলিত অর্থ বছরে জৈন্তাপুরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টি আর) কর্মসূচি’র কাজে অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলাধীন ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাগনের পক্ষে সাবেক ছাত্রনেতা বদরুল ইসলাম এই অভিযোগ দায়ের করেন। গত ১০ অক্টোবর-২০২৩ইং তারিখে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দেয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের বরাদ্ধকৃত ভিত্রিখেল গ্রামীন রাস্তা হতে হুসেন আহমদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ১ লক্ষ টাকা, লামনীগ্রাম ভিত্রিখেল দৌলা মিয়ার কবরস্থানের রাস্তা অসমাপ্ত অংশ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সিসি ডালাই কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সরজমিনে পরিদর্শন করে অনিয়মের অভিযোগ দেখে এলাকাবাসির পক্ষে উপজেলা নিবাহী অফিসার বরাবর কাজের অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১০ আগস্ট-২০২৩ইং অভিযোগ করা হয়।
জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শওকত আলীর এই দুটি কাজে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান-কে বিষয়’টি অবগত করা হয়।
উপজেলা নিবাহী অফিসার প্রকল্প কর্মকর্তা-কে সরজমিনে পরিদর্শন করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। পিআইও গত ১১ আগস্ট সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজের অনিয়ম পান। তিনি অনিয়মের প্রমান পেয়ে ইউপি সদস্য শওকত আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন না করে কাজের বিল প্রদান করেন যা জনস্বার্থ বিরোধী ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে সরকারের চলমান উন্নয়ন নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় ।
নিজের ইউনিয়ন কাজের অনিয়ম হওয়ায় এমপি’র ইমেজ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শওকত আলীর বিরুদ্ধে অতীতেও বিভিন্ন ধরণের সরকারি কাজে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিগত করোনা কালীন সময়ে সরকারী বরাদ্ধকৃত জনসাধারণের মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থ বন্টনে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেন। এনিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্র এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে টি আর, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিটি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রেগনেন্সি ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানে তিনি অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে সরকারের কৃষি অফিস কর্তৃক বাস্তবায়িত ভর্তুকী বাজেটে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সার বীজ সহ যাবতীয় সুবিধা তার আপন ভাই ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও নিরীহ গরীব কৃষকদের নামে বরাদ্ধ নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করেন। লামনীগ্রামের বাসিন্দা গরীব কৃষক ধনাই মিয়ার নামে ১ লক্ষ টাকা দামের জমি চাষের মেশিন তাকে না দিয়ে শওকত আলী সেটা অন্যত্র বিক্রি করে দেন। সরকারি বরাদ্ধকৃত প্রতিটি কাজ অনিয়ম করে অর্থ আত্মসাত করেছেন।
চলিত অর্থবছরে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার কাবিখা (২য় পর্যায়) অর্থের বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পে ভিত্রিখেল কৈন্যাখাই জামে মসজিদ হতে সোবহান মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা পুঃন নির্মাণ করার জন্য সরকারি বরাদ্ধকৃত ৭.১০০ মেঃ টন গম তখনকার বাজার মূল্য ৩,১৯,৫০০ টাকা কাজ না করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সহ তিনি টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন সুনাম রক্ষার স্বার্থে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক পিআইও এবং ইউপি সদস্য শওকত আলীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণে দাবী জানানো হয়েছে।