চুনারুঘাট প্রতিনিধি::চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে গভীর রাতে অসহায় কৃষক কদ্দুছ মিয়ার দুটি খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে একই গ্রামের আলম (৩২) পিতা-মৃত আলফু মিয়া, ২। আরফু মিয়া (৪৫) পিতা-মৃত আলফি মিয়া, হৃদয় মিয়া (২২) পিতা-মোঃ আরজু, দুলাল মিয়া (৩৮) পিতা-মৃত আপন মিয়া।
এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কদ্দুছ মিয়া বলেন, আমার কয়েকটি গরু আছে। আমার গরুগুলির খাবারের জন্য আমার বসত ঘরের পশ্চিম দিকে অনুমান ১০ হাত দূরে ২ টি খড়ের স্তুপ (বনের লাম) দিয়া রাখি। বিবাদীগন বিভিন্ন সময় ও রাতের আঁধারে আমার বসত বাড়ীর আশপাশে সন্দেহ জনক ভাবে ঘোরাফেরা করিয়া থাকে। গত ০৯/১০/২০২৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ১১.৩০ ঘটিকার সময় আমি উল্লেখিত ১ ও ৩ নং বিবাদীকে আমার বাড়ীর আশপাশে সন্দেহ জনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখি।
আমি ও আমার পরিবারের লোকজন প্রতিদিনের মত রাতের খাওয়া দাওয়া করিয়া আমার বসত ঘরে ঘুমাইয়া পড়ি। ঐ রাত অর্থাৎ ১০ রাত অনুমান ৩ ঘটিকার সময় আমার বাড়ীতে হৈ হুল্লা ও আগুন আগুন বলিয়া শোর চিৎকার শুনিয়া আমি ও আমার পরিবারে লোকজন ঘুম হইতে জাগিয়া উঠিয়া দেখি আমার বসত বাড়ীতে আমার বসত ঘরের পশ্চিম দিকে অনুমান ১০ হাত দূরে থাকা আমার ২ টি ঘড়ের গ্রুপ (বনের লাছ) আগুনে পুঁড়িতেছে। আমি আশপাশের লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
উল্লেখ্য যে, বিবাদীগণের সাথে এর আগে আমি যৌথভাবে ব্যবসা করা অবস্থায় তার সাথে আমার টাকা পয়সা লেনদেন হয়। ব্যবসা করাকালে ১নং বিবাদী আমার ব্যবসায় অনুমান ৩,০০,০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি এলাকার গন্যমান ব্যাক্তিবর্গকে জানাইলে, গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়া বিচার সালিশ করিয়া মীমাংশা করিয়া দেন এবং ১নং বিবাদী আমার আমার ক্ষতিপূরন বাবদ ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা ১ মাসের মধ্যে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমাকে উক্ত টাকা না দিয়া উক্ত বিষয় নিয়া ১নং বিবাদীর সাথে বিরোধ চলতে থাকে।