সিলেটপোস্ট ডেস্ক::পেশাগত, রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনে কালিমা লেপনের হীন উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য রাখার অভিযোগ করেছেন সিলেট জজ কোর্টের আইনজীবী ও গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক, গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের রাতারগুল গ্রামের আব্দুন নূরের ছেলে মো. শাহজাহান সিদ্দিকী অ্যাডভোকেট।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একই গ্রামের মৃত গোলাম রহমানের (আব্দুল মন্নান) ছেলে ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ৬ নং ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সৈয়দ মো. গোলাম বাছিত রিমন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য রেখেছেন। মূলতঃ পেশাগত, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন কলংকিত করতেই রিমনের এমন অপতৎপরতা। সংবাদ সম্মেলনে রিমন দাবি করেছিল, তার কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ ২০১৮ সালে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির ২৭নং সদস্য মনোনীত হয়েছিলেন রিমন।
শাহজাহান জানান, ২০১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে এক সংঘর্ষে রিমনের ভাই গোলাম হাদি রিপনের মৃত্যু হলে রিমন গোয়াইনঘাট থানায় যে মামলা দায়ের করেছিলেন, সেই মামলায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও অসৎ উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও তাকে সেই মামলার আসামি করেছেন। অথচ তার আগের দিন শাহজাহান গোলাপগঞ্জে গিয়েছিলেন এবং ১৮ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গোলাপগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। বিষয়টি জানার পর তিনি উচ্চ আদালতের দ্বারস্ত হন এবং জামিন পান।
এরপর যাবতীয় ডকুমেন্ট গোয়াইনঘাট থানায় জমা দিলেও কেবল বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে রিমনসহ স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন শাহজাহান। শাহজাহান পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্ত হলে বিচারক স্টে অর্ডার দেন এবং রুল জারি করেন।
তিনি আরোও জানান, রিমন সুপ্রিম কোর্টে স্টে অর্ডার বাতিলের জন্য আবেদন করলে বিচারক তা খারিজ করে দেন। কিন্তু ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর রিমন যুবলীগে যোগদানের ডকুমেন্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেলে দলীয় বিবেচনায় আদালত মামলাটির স্টে অর্ডার বাতিল করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী।
বিগত সরকারের আমলে বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন সেক্টরে দলীয়করণের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি জানান, আদালতের নথিতে রিমনের ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনয়নের ডকুমেন্ট পাওয়া যায়। এছাড়া রিমনের দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষি হারিছ মিয়া ও আবুল মিয়াকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির বিষয়ে তিনি বলেন, এদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলার বাদী, স্বাক্ষি বা আইনজীবী তিনি নন। সুতরাং তিনি তাদের হয়ারানি করার কোনো প্রশ্নই উঠেনা। তাছাড়া রিমন রিপন ও আবুল ২০১০ সাল থেকেই বিভিন্ন মামলার আসামি এবং চুরি ছিনতাইসহ নানা অসামাজিক কাজে লিপ্ত। আবুলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা এবং সেবনেরও অভিযোগ ও মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন ইমেজের রাজনীতিবিদ দাবি করে অ্যাডভোকেট শাহজাহান তার বিরুদ্ধে রিমনের মানহানিকর মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন এবং এ ব্যাপারে সিলেটের প্রশাসনসহ সচেতন মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়া আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তার গ্রামের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।