সিলেটপোস্ট ডেস্ক::স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর আগামী ১ অক্টোবর সিলেটে অনুষ্ঠিতব্য গণসমাবেশ সফলে সিলেটবাসীর সর্বাত্মক সহযোগীতা চেয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ।
আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগরীর সুরমা মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ৫ দফা দাবিসহ লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট মহনাগর শাখার সভাপতি মুফতি সাঈদ আহমদ।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করেন এবং গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। এরপর তিনি ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হচ্ছে, গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইব্যুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যার বিচার, গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল হত্যাযজ্ঞ, গুম ও মনবাধিকার লংঘনের বিচার, দোষী ব্যক্তি ও সংগঠনকে রাজনীতি এবং নির্বাচন থেকে নিষিদ্ধ করা।
গত সরকারের আমলে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা এবং পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ গ্রহণ। দুর্ণীবাজদের শাস্তি, দুর্ণীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালু।
সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেয়া এবং পরিবেশ সম্মত পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ নিশ্চিত করা
এবং ইসলামী সমাজ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
আগামী ১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজারের সিটি পয়েন্টে অনুষ্ঠিতব্য এই গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফায়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই)।
এছাড়াও সিলেট জেলা এবং মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী আন্দোলন সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মুফতী সাঈদ আহমদ।
তিনি গণসমাবেশ সফল করতে সিলেটবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নযীর আহমদ, জেলা সহ সভাপতি ফজলুল হক, মহানগর শাখার সহ সভাপতি ডা. রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, জেলা শাখার সেক্রেটারী হাফিজ মাওলানা ইমাদ উদ্দিন, সিলেট মহানগর শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, সিলেট জেলা শাখার সদস্য ইসহাক আহমদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ ক্বারি মো. ইমাম উদ্দিন।