সিলেটপোস্ট ডেস্ক::সিলেট নগরের কুমারগাঁওয়ে টিলা কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেট বিমানবন্দর থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মামুনুর রশিদ। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৮ হাজার ৭২ ঘনফুট টিলার মাটি কাটা ও অপসারণের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর বানিয়াগাঁও গ্রামের সুভাষ পাল (৪৭), সিলেটের টিলারগাঁও আখালিয়ার সুহেল মিয়া (৩২), সিলেটের গোলাপগঞ্জ সুপাটেক গ্রামের প্রিয়তোষ দাস (৪৫), সিলেট বিমানবন্দর থানার টিলারগাঁও আখালিয়া এলাকার রুহেল মিয়া (৪০), তাঁর ভাই কয়েছ মিয়া (৪১), সুনামগঞ্জের দিরাই উদনপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন (৫০), একই গ্রামের আহমদ আলী (৪৬), টিলারগাঁও আখালিয়ার মো. জাহাঙ্গীর (২৭) ও একই এলাকার আবদুল্লাহ (২৫)। তাঁদের মধ্যে সুভাষ পালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ আশিক কবিরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সুভাষ পালকে ঘর নির্মাণের জন্য টিলা কাটা অবস্থায় আটক করা হয়। এ সময় অন্যান্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালত স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা টিলার মাটি কেটে নিচু জমি ভরাট করে ঘর নির্মাণ করছেন। পরে আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়ার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রিয়তোষ দাস ৪ হাজার ৮০০ ঘনফুট, সুভাষ পাল ২ হাজার ৯৭০ ঘনফুট, সুহেল মিয়া ১৭ হাজার ৮৫০ ঘনফুট, রুহেল মিয়া ও কয়েছ মিয়া দুই ভাই মিলে ৩ হাজার ৭৮০ ঘনফুট, মোফাজ্জল হোসেন ১৫ হাজার ৩৭৫ ঘনফুট, আহমদ আলী ১ হাজার ৪৭০ ঘনফুট এবং আবদুল্লাহ ৮৮২ ঘনফুট টিলার মাটি কেটেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, মামলার পর আটক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।