নিজস্ব প্রতিবেদক : সাত বছরেও কান্না শেষ হয়নি দু:খিনী মায়ের। সেই যে ছেলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো আর ফিরে এলো না বুকের ধন। প্রতিদিনই দরজার কড়া নাড়ার শব্দে মা’র মন আনচান করে উঠে। এই বুঝি ফিরলো খোকা! কিন্তু না সেই যে গেলো আর ফিরে আসার নাম নেই। ছেলে আসবে এমন প্রত্যাশায় মায়ের প্রহর গুনা শুধুই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নগরীর শাহী ঈদগাহ, হাজারীবাগের বাসা থেকে বের হয়ে যায় ইদ্রিস আলী ও পিয়ারা বেগমের কৈশোর পেরোনো ছেলে মো. নাজমুল হুদা মিন্টু। তারপর আত্মীয় স্বজন পরিচিতজনদের বাড়ি বাড়ি খোঁজ করেও তার সন্ধান না পেয়ে কোতোয়ালি থানায় ১৩ আগস্ট একটি সাধারণ ডায়রি (নং-৮৯৫) মা পিয়ারা বেগম।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার শ্যামলা বর্ণের মিন্টু বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
জানা গেছে, ছেলে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা পিয়ারা বেগম দিনে দিনে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ছেলে ফিরে আসবে এমন প্রত্যাশায় তিনি দিন কাটাচ্ছেন। যাকেই পাচ্ছেন মিন্টুর নিখোঁজ হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। তার খোঁজ পেলে মা যে কস্টে দিন কাটাচ্ছেন তা জানাতে অনুরোধ করছেন।
এ ব্যাপারে নিখোঁজ মিন্টুর বড় বোন নাজনিন বলেন, আমরা প্রতিদিনই খোঁজ করছি কবে মিন্টু ফিরে আসবে। প্রতিদিন তার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন মা।