সিলেটপোস্ট ডেস্ক: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের মাঝে সোনালি ঝিলিক। এই ঝিলিকে কৃষকের চোখ-মুখও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। কাকডাকা ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ চলছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রসময় ম-ল জানান, উপজেলার ১২৮৩৫ হেক্টর জমিতে এ বছর বিভিন্ন জাতেরহয়েছে। অথচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২৬৬৫ হেক্টর। ফলনের লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করবে বলে তারা ধারণা করছেন। আর পনের দিন যদি শিলাবৃষ্টি বা বড় ধরনের ঝড় না হয়, তবে কৃষকরা নিশ্চিন্তে সব ধান ঘরে তুলতে পারবেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিম্নাঞ্চলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ধানের চাষ ও ফলন হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ৬০ হাজার মেট্রিক টন ধানের চাহিদা থাকলেও ফলন হবে ১ লাখ ১৫ টন। অথাৎ চাহিদার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। উপজেলার অনেক কৃষক ক্ষেতের পাশের উঁচু জমিতে ধান মাড়াইয়ের খইলান তৈরি করেছেন। ধান কেটে এনে সেখানেই চলছে ঝাড়াই-মাড়াইয়ের কাজ। পরে তোলা হচ্ছে মালিকের গোলায়। আবার যেসব ক্ষেতের কাছাকাছি রাস্তা আছে সেসব জমির মালিকরা ধান কেটে নসিমন বা ভ্যান করে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।
সমানে চলছে ধান মাড়াই ও ঝাড়াইয়ের কাজ। কৃষাণ-কৃষাণিরা ধান কাটা-মাড়াই ও গোলায় উঠাতে কোমর বেঁধে কাজে নেমেছেন। প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে উপজেলায় ধান কাটার ধুম লেগেছে। তাই কৃষকের চোখে মুখে সোনালি হাসির ঝিলিক লেগেছে