সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট: সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকায় কলাম লেখায় এরশাদের চাপে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের। এমন একটি গুঞ্জন এরশাদের বারিধারার বাসভবন ও বনানী কার্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে জি এম কাদের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার একজন কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করেন, গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বনানী অফিস ‘রজনীগন্ধা’য় যান বৃহস্পতিবার দুপুরে। সেখানে দলের কোষাধ্যক্ষ ও এরশাদের ব্যক্তিগত সহকারী মেজর (অব.) খালেদ আখতারের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
মেজর (অব.) খালেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘জি এম কাদের এমনিতেই আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি আমাদের দলের নেতা, আমার কাছে আসতেই পারেন। তবে তিনি কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।’
তবে জাপা সূত্রের দাবি, জি এম কাদের সরকারের সমালোচনা করে পত্রিকায় কলাম লেখায় প্রধানমন্ত্রী এরশাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। জি এম কাদের সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে ধারবাহিকভাবে কলাম লেখেন। এতে এরশাদ ক্ষুব্ধ হয়ে তার পূর্বনির্ধারিত রংপুর সফর, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৩১ মের মানববন্ধন কর্মসূচি বাতিল করেন। মানবপাচারের বিরুদ্ধে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল জাপার।
এ বিষয়ে মেজর (অব.) খালেদ বলেন, ‘স্যারের (এরশাদ) পায়ে ব্যথা। এ জন্য স্যার রংপুর যাননি। অসুস্থতার কারণে মানববন্ধন কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।’
জি এম কাদেরের পদত্যাগের বিষয়ে জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘জি এম কাদের সাহেব জাপার কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) খালেদ সাহেবের কাছে গিয়েছিলেন। তখন আমরা বনানী অফিসেই ছিলাম। তিনি পদত্যাগপত্র দিয়েছেন কিনা, জানি না।’
পদত্যাগের বিষয়ে জি এম কাদের টেলিফোনে বলেন, ‘আমি বনানী অফিসে ব্যক্তিগত কাজে গিয়েছিলাম।’ বিগত এক বছরে আপনি ওই অফিসে যাননি। হঠাৎ কেন গিয়েছিলেন— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বনানীতে একটি কাজে গিয়েছিলাম। সেখানে দেরি হচ্ছিল দেখে মেজর খালেদের রুমে অবস্থান করছিলাম। প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারী জি এম কাদের জাপার বনানী অফিসে বিগত দেড় বছরে কখনই যাননি।
এদিকে জি এম কাদেরের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী করণীয় নিয়ে জরুরী বৈঠক করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর জাপা। বর্তমানে জাপার ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির নেতৃত্ব জি এম কাদেরের বিরোধীরা অবস্থান করছেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এস এম ফয়সল চিশতী।