সিলেটপোস্টরিপোর্ট:বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে।
জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে সকল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করতে হবে।তিনি আরো বলেন-বিএনপির অঙ্গসংগঠন ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ মিথ্যা মামলায় কারান্তরীণ রয়েছে। তাদের মুক্তির দাবীতে সবাইকে স্বোচ্চার হয়ে রাজপথে নামতে হবে। কোন ষড়যন্ত্রই আওয়ামী সরকারের পতন ঠেকাতে পারবেনা। সময়ের ব্যাবধানে গণবিস্ফোরনে এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।তিনি সোমবার সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় নগরীর জিন্দাবাজারস্থ দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাসিম হোসাইন, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, হুমায়ুন কবির শাহীন, আজমল বখত্ সাদেক, মিফতাহ সিদ্দিকী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল, সিটি কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, ডা. নাজমুল ইসলাম, কাউন্সিলর সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, মুফতি বদরুননুর সায়েক, মাহবুব চৌধুরী, সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, আব্দুর রহিম, মুফতি নেহাল উদ্দীন, আব্দুস সাত্তার, মুকুল মোর্শেদ, আলাউদ্দিন আহমদ ও আব্দুল জব্বার তুতু প্রমুখ।সভায় এক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য শেখ রাজ্জাক আলী, সাবেক তথ্যমন্ত্রী শামছুল ইসলামের স্ত্রী, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আজাদ, শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহমেদ নাসিম মঞ্জুরুল হক কাদেরী, ছাত্রদল নেতা উসমান গনির পিতা ও ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালিবের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবার সমুহের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও মোনাজাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক পররাষ্ট্রসচিব বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা শমসের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম-এর আশু রোগমুক্তি কামনা করা হয়।সভায় বিগত আন্দোলন সংগ্রামে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অবিলম্বে মুক্তিসহ বাসাবাড়ীতে তল্লাশীর নামে হয়রানীর তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এছাড়াও সোমবার মদন মোহন কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভায় সকল পর্যায়ে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
.