সিলেটপোস্টরিপোর্ট:সিলেটের জৈন্তাপুরে কোম্পানীর নামে একের পর ধানীজমি দখল করে নিচ্ছে জামায়াতী ভুমিখেকোরা। আর তাদের দখলবাজিতে সহযোগীতা করছে থানা পুলিশ । এমন অভিযোগ উপজেলার দরবস্ত এলাকার নিরীহ কৃষকদের। দখলবাজির প্রতিবাদ করায় মিথ্যে মামলায় পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের। আইন ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এমনই এক বিভিষিকাময় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের।অভিযোগে প্রকাশ, সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ সোনরপাড়ার বাসিন্দা জামায়ত নেতা হাফিজ মিছবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সাজাজাদুর রহমান, ও বদরুল আলমাদনী সহ কয়েকজন মিলে ‘শেলটেক টেকনোলজিস লিঃ, নামে একটি কোম্পানী করেন। কোম্পানীর নামে তারা সিলেট-তামাবিল সড়কের নিকটে জৈন্তাপুর উপজেলার দরস্ত এলাকায় প্রায় ২১ বিঘা জমি নিয়ে প্লাট করতে শুরু করেন। কিন্তু কোম্পানীর কর্তা-ব্যক্তিরা নানাজাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে স্থানীয় কৃষকদের একমাত্র জীবিকা সম্বল ধানীজমি আত্মসাত করতে শুরু করেছেন। কৃষকদের সর্বহারা করে তারা ভুমি ও প্লট বানিজ্য করে চলেছেন। কোম্পানীর অবৈধ দখলবাজিতে ক্ষেতের জমিহারা ওই কৃষকদের মধ্যে রয়েছেন ছয়ফুল আমিন সহ একই পরিবারের কয়েকজন কৃষক। জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত তেলিজুরী গ্রমের মরহুম নজরুল ইসলামের পুত্র ছয়ফুল আমিন অভিযোগ করেন, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ১০৯নং ফরফরা মৌজার ১৩২ খতিয়ানের ৪২৮,৪২৬ ও ৪২৭ দাগে তার ও তার পরিবারের ৩একর ১৫শতক মৌরসী ক্ষেতের জমি রয়েছে। এরই মধ্যে ‘শেলটেক টেকনোলজিস’ কর্মকর্তারা তাদের জমি জবরদখলে নিতে মারয়া হয়ে উঠে। পেশী শক্তি দিয়ে দখল করতে না পেরে কোম্পানীর কর্তা-ব্যক্তিরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একের পর এক মিথ্যে মামলা দিয়ে থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ওই জমি জবরদখল করে নেয়। দখল পাকাপোক্ত করতে ভুমি খেকোরা পুলিশের পাশপাশি তাদের পিছনে লেলিয়ে দিয়েছে তাদের সন্ত্রসী খুনী চক্রও। এ চক্র দিয়ে আবিরাম তাদের হুমকি ধমকিও দেয়া হচ্ছে। ফলে ছয়ফুল পরিবারসহ স্থানীয় কৃষকরা ভয়ে ক্ষেত খামার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন। এ অবস্থায় তারা তাদের জানমালের নিরাপত্তাসহ ধানীজমি রক্ষায় সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেট, সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিসহ প্রশাসনের সর্বমহলে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ফল পাচ্ছেন না। থানা পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভমিখেকো ‘শেলটেক কর্তৃপক্ষ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের তুঘলকি কর্মকান্ড। বরং পুলিশ একের এক পর মিথ্যে মামলা নিয়ে তাদের হয়রানী করছে। ফলে তারা জমি হারিয়েও শান্তিতে বাড়িঘরে ঘুমাতে পারছেন না কৃষকরা। ভুমিখেকোরা পুলিশের সহায়তায় তাদের বাস্তুহারা করে চলেছে বলে অভিযোগ করেছেন তার।
তবে শেলটেক টেকনোলজিস লিঃ-এর অন্যতম পরিচালক বদরুল আলমাদানী অন্যের জমি জবরদখলের অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তারা কাগজপত্র দেখে জমি ক্রয় করে নির্বিবাদে দখল সমঝে নিয়ে কোম্পানীর কাজ করে চলেছেন। স্থানীয় একটি মহল অন্যায় লাভের আশায় তাদের কোম্পানীর ক্ষতিসাধনে লিপ্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে । তবে তা নিষ্পতিÍ পথে চলছে বলে জানান তিনি।