সিলেট পোস্ট রিপোর্ট : খেলনাগুলো ঝুড়িতে গুছিয়ে রাখুন।বাচ্চারা সাধারণত খেলনা সামগ্রী গুছিয়ে না রেখে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।সারা দিন কর্মব্যস্ততার পর ধৈর্য থাকেনা সব খেলনা গুছিয়ে রাখার। তাই সহজ উপায় হল সব খেলনা এক সঙ্গে রাখার জন্য সোনামণির ঘরে একটি ঝুড়ি রাখা।
ঝুড়িটি অবশ্যই ঘরের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে এর উজ্জ্বল রঙ হওয়া উচিৎ।ছোট ছোট গাড়ি রাখার জন্য ট্রান্সপারেন্ট ঝুড়ি রাখলে বা্চ্চারা সহজেই পছন্দের গাড়িটি খুঁজে পায়।এতে একটি গাড়ি বের করতে সব গাড়ি ফেলতে হবেনা ।ঘরের দেয়ালে উজ্জ্বল রং করুন: কার্টুনে সাধারণত সব কিছু খুব রঙ্গিন হয়। তাই ওদের কল্পনার জগতের মত ঘরকেও কার্টুনের জগতের একটু আদল দিলে বাচ্চারা খুব খুশি হয়। অনেকেই বাচ্চাদের শোবার ঘরের দেয়ালে নীল বা গোলাপী রঙ করে থাকে।
এই চিন্তা থেকে বের হয়ে নতুন কিছু চিন্তা করা উচিৎ। যেমন দেয়ালে এঁকে দিতে পারেন রংধনু, বিভিন্ন রঙের প্রজাপতি।এধরণের ডিজাইন বাচ্চার কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি করে। ১০ বছরের কম শিশুরা রূপকথার গল্পে মুগ্ধ হয়ে থাকে। তাই ছাদের দেয়ালে রূপকথার বিভিন্ন চরিত্রের স্টিকার, তারা, বিভিন্ন গ্রহের স্টিকার লাগালে রাতের অন্ধকারে ঘরের ছাদকে আকাশের মত লাগবে।
একইভাবে বাথরুমের দেয়ালে ও বাথটাবে বিভিন্ন উজ্জ্বল রং করা উচিৎ।বাথরুমের দেয়ালে বিভিন্ন গাছ, সূর্যের আলো, ঝরনার ছবি এঁকে দিলে তাদের কল্পনার জগতের মত দেখাবে।বাচ্চারা তখন আর গোসল করতে অনীহা প্রকাশ করবেনা। রঙ্গিন বিছানার চাদর ও হালকা আসবাবপত্র রাখুনকার্টুন চরিত্র ছাপা আছে এমন বিছানার চাদর ও মশারি ব্যবহার করা উচিৎ।বিছানায় তসর, ভেলবেট, সিল্কের চাদর ব্যবহার করলে অনেক সময় শিশুরা শুয়ে আরাম পায়না।
তাই বিছানায় সুতি চাদর বিছানো দরকার।শিশুদের ঘরে বড়,ভারী ও বেশি আসবাবপত্র রাখা উচিৎ নয়। ছোট ,হালকা কম আসবাবপত্র রাখলে ঘরটি খোলামেলা থাকবে।ঘরের ভেতর সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারবে।