সিলেটপোস্ট রিপোর্ট : এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশের সাহায্য ছাড়া ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ খ্যাত রাজ্য ৭টির আঞ্চলিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই ভারতের উত্তর পুর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের উন্নয়নে আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপনে উদ্যোগী হয়েছে তারা। সেভেন সিস্টারের উন্নয়নে ভারত বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে। আমরা তাদেরকে আশ্বস্থ করেছি। বাংলাদেশ, ভূটান, ভারত ও নেপালের ব্যবসায়ী ও সরকারি প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে শিলংয়ে আঞ্চলিক সংযোগ সম্মেলন শেষে মঙ্গলবার সকালে তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরো বলেন, ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য শিলং-সিলেট এবং গৌহাটি-সিলেট ফ্লাইট চালু করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ব্যবহার করার জন্য আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। সম্মেলনে এসব রাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং নৌ, রেলওয়ে ও সড়ক পরিবহনের উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিলেটের সীমান্ত দিয়ে ভারতের সাত রাজ্যে পণ্য আমদানী ও রফতানির পথ সুগমসহ আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে সব দেশের মধ্যে আন্তঃসংযোগের বিষয়ে সম্মেলনে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে পাথর ও চুনা পাথর আমদানি বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এফবিসিসিআই সভাপতি সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সম্মেলনে পাথর আমদানি রফতানি বন্ধ থাকার বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের রাজস্ব আয়ের লোকসানের দিক তুলে ধরা হয়েছে। শীঘ্রই পাথর ও চুনা পাথর পুনরায় রফতানি করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই পরিচালক শামীম আহমদ, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মামুন কিবরিয়া, ব্যবসায়ী নেতা মাসুদ আহমেদ চৌধুরী, এনামুল কুদ্দুছ, হিজকিল গুলজার, তামাবিল কয়লা, পাথর ও চুনাপাথর আমদানিকারক গ্র“পের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী প্রমুখ।