সংবাদ শিরোনাম
৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «   ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানালেন কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ক্রীড়াঙ্গন নতুন করে গড়ে তোলার এখনই সময়: মোমিনুল ইসলাম মোমিন  » «   শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর-জেলা প্রশাসক  » «   পদত্যাগ করার পর যে সব কথা বললেন নাহিদ  » «   জগন্নাথপুরে ভূমিখেকো আ. লীগের সাথে ছাত্রদল নেতা মিলিত হয়ে কৃষক পরিবারকে মারধর ও হয়রানি  » «   ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   বড়লেখায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই  » «   প্রত্যাশাকে হতাশায় পরিণত করা যাবে না-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  » «  

বরগুনায় সেই শিক্ষকের আত্মসমর্পণ: কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

9সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :বরগুনা তৃতীয় শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনকারী সেই শিক্ষক থানায় আত্মসমর্পণ করেছে। একই সঙ্গে তার পরিচালনাধানী কোচিং সেন্টারটি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।  বরগুনার বিজয় বৃত্তি কোচিং সেন্টারে ইসরাত জাহান মালিহা (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেত দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম বাদল।বৃহস্পতিবার রাতে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকায় বিজয় বৃত্তি কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। শিশু মালিহাকে অসুস্থ অবস্থায় বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মালিহা ক্যালিক্স একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও কোচিং সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।মালিহার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং বরগুনা সদর উপজেলার রোডপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শিক্ষা বিভাগ। এছাড়া শহরের কলেজ রোডে পরিচালিত কোচিং সেন্টারটিও বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক বাদল আত্মগোপনে থাকলেও পরে তিনি থানা আত্মসমর্পণ করেন। এর আগে তাকে না পেয়ে শিক্ষক বাদলের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।শিশু মালিহা বলে, স্যার আমাকে একটি অংক করতে দিয়েছিলো, আমি পারিনি, সেজন্য আমাকে বেত দিয়া পিটিয়েছে।শিক্ষার্থী মালিহার বাবা মো. জামাল শিকদার বলেন, সামান্য অপরাধের জন্য আমার মেয়েকে ৩৫ থেকে ৪০টি বেত্রাঘাত করা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম শুক্রবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী মালিহাকে দেখতে যান। এ সময় তিনি বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিচালিত কোচিং সেন্টারটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।এদিকে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাদল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। বরগুনা সদর থানার ওসি মো. রিয়াজ হোসেন পিপিএম জানান, ছাত্রী নির্যাতনকারী শিক্ষক থানায় আত্মসমর্পণ করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.