সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :রাজধানীর কলাবাগান লেকভিউ মসজিদের খতিব মুফতি সাদিকুর রহমানকে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার টামটার স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা।শনিবার রাত ১১টার দিকে মুফতি সাদিকুরকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ স্থানান্তর করে চিকিৎসকরা।রোববার সকালে পরিবারের সদস্যরা আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য পান্থপথের সমরিতা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করেছেন।জানা গেছে, চান্দিনা উপজেলার টামটায় মুফতি সাদিকুর রহমানের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে। সেখানে এক এতিমখানায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য তিনি বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। চৌমুহনী বাজারের কাছে এলে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।তার মুখ ও মাথায় উপর্যুপরি কোপায় তারা। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত মুফতি সাদিকুরের ভাই আবদুল আহাদ জানান, গৌরীপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আহতের অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন। রাত দেড়টার দিকে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসা দেয়া হয়। তার মুখ ও মাথায় কমপক্ষে ১৫-১৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ৬টায় মুফতি সাদিকুরকে আরো উন্নত চিকিৎসার দেয়ার জন্য পান্থপথের সমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।তবে কী কারণে বা কারা এ হামলা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি আবদুল আহাদ।তিনি বলেন, ‘টামটায় আমার ভাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখানে এক এতিমখানায় দোয়া মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশে তিনি বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে।’তিনি বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে এ হামলা হতে পারে। তার প্রতিষ্ঠানেও অনেকের সাথে মতপার্থক্য রয়েছে। এসব নিয়েও হামলা হতে পারে।’
জমিজমা নিয়েও এলাকায় কিছু লোকের সাথে পূর্বশত্রুতা আছে বলে জানান তিনি।
তবে হামলায় দায়ি কারা এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলতে চাননি আবদুল আহাদ।
তিনি বলেন, ‘বললে অনেক কিছু বলতে পারি। কিন্তু বলছি না। আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা ভাল না।’এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।আহতের ভাই আবদুল আহাদ বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সেলিম চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তির কাছে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছি, যাতে আর কোনো হামলা না হতে পারে।’