সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :খুলনা দায়িত্বে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি। তার নাম এম বুলবুল আহমেদ। তিনি খুলনা পাইকগাছার কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাবর বিচার চেয়ে অবেদন করেন।
জানা গেছে, চোখ হারানো বুলবুল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। গত ২৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ কে এম ফজলুল হক এ নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বুলবুল আহমেদ স্থানীয় প্রশাসনসহ ন্যায় বিচার পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেও অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের বুলবুল আহমেদ বাম চোখে ঝাপসা দেখায় তিনি খুলনার শিরোমনিস্থ বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ডা.বাহাউনি মালিকের কাছে যান। এরপর তিনি তাকে ছানি অপারেশনসহ লেন্স বসানোর পরামর্শ দিলে তিনি চলতি বছরের ২০জানুয়ারি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।
পরে ডা.বাহাউদ্দিন চোখ অপারেশন করে লেন্স সংযোজন করেন। অপারেশনের পর দায়িত্বরত এক নার্স চোখে ইনজেকশন দিলে তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি নার্স ও চিকিৎসককে জানালে সব ঠিক আছে বলে তারা জানায়। কিন্তু লেন্স স্থাপনের পরও দেখতে না পাওয়ায় তিনি ২৯ জানুয়ারি, ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ এপ্রিল ডা. বাহাউদ্দিন মালিকের কাছে যান।
পরে তিনি বুলবুলকে ঢাকার অন্য হাসপাতালে রেটিনা অপারেশনের পরামর্শ দেন। এরপর গত ৮মে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জালাল আহমদের কাছে গেলে তিনিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একই পরামর্শ দেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বুলবুল আহমেদ ভারতের শঙ্কর নেত্রালয় ও রেনুকা আই ইনস্টিটিউটে গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চোখের রেটিনা ফেটে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইনজেকশনের সুই এ রেটিনা ফেটে যাওয়ায় ভারতের চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, চোখ প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এর সমাধান নেই। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বুলবুল আহমেদ জানান, অন্য কেউ যাতে এ ধরনের অপচিকিৎসার শিকার না হন, সেজন্য তিনি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলেন।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ নির্দেশ প্রদান করেছেন। –