সংবাদ শিরোনাম
মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  » «   সিলেট নগরীর গার্ডেন টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের লিপ্ত থাকায় পাঁচ নারী ও এক পুরুষ আটক  » «   জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপি জনগণের পাশে আছে : আব্দুর রাজ্জাক  » «   ৩০ বছর ধরে মিটাভারাং ও মজলিশপুরসহ অর্ধশত গ্রামের মানুষ একটি বাঁশ বেতের সেতু দিয়ে চলাচল করছেন  » «   ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «   ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানালেন কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ক্রীড়াঙ্গন নতুন করে গড়ে তোলার এখনই সময়: মোমিনুল ইসলাম মোমিন  » «   শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর-জেলা প্রশাসক  » «   পদত্যাগ করার পর যে সব কথা বললেন নাহিদ  » «   জগন্নাথপুরে ভূমিখেকো আ. লীগের সাথে ছাত্রদল নেতা মিলিত হয়ে কৃষক পরিবারকে মারধর ও হয়রানি  » «  

ভুল চিকিৎসায় চোখ নষ্ট: তদন্তের নির্দেশ মন্ত্রণালয়ের

010সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :খুলনা দায়িত্বে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি। তার নাম এম বুলবুল আহমেদ। তিনি খুলনা পাইকগাছার কপিলমুনি বণিক সমিতির সভাপতি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাবর বিচার চেয়ে অবেদন করেন।

জানা গেছে, চোখ হারানো বুলবুল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। গত ২৯ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ কে এম ফজলুল হক এ নির্দেশনা প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। এর আগে বুলবুল আহমেদ স্থানীয় প্রশাসনসহ ন্যায় বিচার পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেও অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন।

খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের বুলবুল আহমেদ বাম চোখে ঝাপসা দেখায় তিনি খুলনার শিরোমনিস্থ বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ডা.বাহাউনি মালিকের কাছে যান। এরপর তিনি তাকে ছানি অপারেশনসহ লেন্স বসানোর পরামর্শ দিলে তিনি চলতি বছরের ২০জানুয়ারি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে ডা.বাহাউদ্দিন চোখ অপারেশন করে লেন্স সংযোজন করেন। অপারেশনের পর দায়িত্বরত এক নার্স চোখে ইনজেকশন দিলে তিনি তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। বিষয়টি নার্স ও চিকিৎসককে জানালে সব ঠিক আছে বলে তারা জানায়। কিন্তু লেন্স স্থাপনের পরও দেখতে না পাওয়ায় তিনি ২৯ জানুয়ারি, ২২ ফেব্রুয়ারি ও ২৮ এপ্রিল ডা. বাহাউদ্দিন মালিকের কাছে যান।

পরে তিনি বুলবুলকে ঢাকার অন্য হাসপাতালে রেটিনা অপারেশনের পরামর্শ দেন। এরপর গত ৮মে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জালাল আহমদের কাছে গেলে তিনিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে একই পরামর্শ দেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বুলবুল আহমেদ ভারতের শঙ্কর নেত্রালয় ও রেনুকা আই ইনস্টিটিউটে গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চোখের রেটিনা ফেটে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইনজেকশনের সুই এ রেটিনা ফেটে যাওয়ায় ভারতের চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা জানান, চোখ প্রতিস্থাপন করা ছাড়া এর সমাধান নেই। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বুলবুল আহমেদ জানান, অন্য কেউ যাতে এ ধরনের অপচিকিৎসার শিকার না হন, সেজন্য তিনি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করেছিলেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব এ নির্দেশ প্রদান করেছেন। –

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.