সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ও ইসলামের ইতিহাস (আওয়ামীপন্থী) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এটিএম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে।এদিকে এই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রোববার দুপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। ভূক্তভোগী ছাত্রী ভাষা বিভাগের (উর্দু) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও রোকেয়া হল ছাত্রলীগ কর্মীভুক্তভোগী ছাত্রী প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি বরাবর যে স্মারকলিপি প্রদান করেন, তাতে উল্লেখ করা হয়, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের র্যালি শেষ করে আমার হলে ফিরতে দেরি হলে রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক এ.টি.এম রফিকুল ইসলাম স্যার আমাকে প্রধ্যক্ষের রুমে দেখা করতে বলেন। আমি রুমে গিয়ে দেখি স্যার একা বসে আছেন এবং প্রথমেই তিনি আমাকে বললেন, “শুধু ছাত্রলীগ করলেই কি হলে সিট হবে? হলের সিটের জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে।” এসময় তার কথা বার্তায় এবং শারীরিক প্রকাশ ভঙ্গি ছিল অত্যন্ত আপত্তিকর ও অশোভনীয়। এমতাবস্থায় আমি স্যারের নিষেধ স্বত্ত্বেও প্রধ্যক্ষের রুম থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে চলে আসি।উল্লেখ্য, রুম থেকে বের হয়ে চলে আসার সময় স্যার আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকিমূলক কথা বার্তা বলতে থাকেন।স্মারকলিপিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এর আগেও গত ২৩ নভেম্বর হলের একটি সিটের জন্য প্রধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করতে হল অফিসে যাই। এসময় আমার পরিচয় দেয়ার পরে রফিক স্যার প্রাধ্যক্ষ ম্যাডামের সামনে ছাত্রলীগকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেন।এদিকে স্বারকলিপি প্রদানের আগে অশালীন আচারণ, শ্লীতহানি ও যৌনহয়রানির অভিযোগ এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ছাত্রলীগ রোববার বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে মানববন্ধন করে। ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আহমেদ কৌশিকের উপস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম রুবেল, রাবি শাখা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডার কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মূর্তজা প্রমুখ।এদিকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের ক্লাসে অশালীন আচরণেরও অভিযোগও করেছে শিক্ষার্থীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, এটিএম রফিক ক্লাসে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদেরকে অশালীন ভাষায় কথা বলে ও মানসিক-শারীরিকভাবে শাস্তি দিয়ে থাকে।জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমি যখন তাকে ডাকি, তখন আমিসহ হলের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিল। আর তার সঙ্গে এই রকম অশালীন কোনরকম আচারণ করা হয়নি। আর বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের কথাও অস্বীকার করেন তিনি।