সংবাদ শিরোনাম
সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায়  রাসুল (সা.) এর আদর্শের কোনো বিকল্প নেই-সিলেট বিভাগীয় কমিশনার  » «   সিলেট বিভাগীয় অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি- লুৎফুর, সাধারণ সম্পাদক-জহুরুল, কোষাধ্যক্ষ ফয়সল  » «   ডিম, সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার  » «   মাজারে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার  » «   আজকে সিলেটে বিএনপির র‍্যালি-সমাবেশ স্থগিত পরবর্তী ১৭ তারিখ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে  » «   গণতন্ত্র হত্যাকারীরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, খেয়াল রাখতে হবে: কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ওসমানীনগরে আ,লীগ নেতা মুকিদের বিরোদ্ধে প্রবাসী মহিলার টাকা আত্নসাতের অভিযোগ!  » «   শান্তিগঞ্জের টাইলা গ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দিনমুজুরের বসতভিটা দখল করেছে ভূমিখেকোচক্র  » «   সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ  » «   সিলেটসহ ২৫ জেলার নতুন ডিসিদের কর্মস্থলে যাওয়া মানা, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ব্রিফিং স্থগিত  » «   সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে স্বামীর ছুরিকাঘাতে প্রাণগেল স্ত্রীর   » «   সিলেটের শাহপরাণ (রাহ.) মাজারে আলেম-জনতার সঙ্গে গভীর রাতে ওরসপন্থীদের সংঘর্ষ  » «   সারাদেশের সাত বিভাগে ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৬১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি, একজনের মৃত্যু  » «   সিলেটে জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পেলেন পি. কে. এম এনামুল করিম  » «   গোলাপগঞ্জে নির্দোষ ব্যক্তিকে আন্দোলনের মামলায় আসামি দিয়ে হয়রানির অভিযোগ  » «  

পৌরসভা নির্বাচন- পুলিশি অভিযান,নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কায় বিএনপি! মৌলভীবাজারে বিজয়ী হতে আ,লীগ,বিএনপি মরিয়া

13শরীফ আহমেদ,মৌলভীবাজার :মৌলভীবাজারের ৪ পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দীর্ঘদিন থেকে বিএনপির দখলে থাকা এ পৌরসভাগুলোর মেয়র পদ পুনরুদ্ধারে প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বসে নেই বিএনপি। উভয় দলের নেতাকর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ভোটযুদ্ধে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে। জেলাজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে। বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীদের সরব প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। এবার প্রথম পৌরসভা নির্বাচন দলীয় প্রতীক ও দলের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় নানা কারণেই প্রথম দিকে নিরোত্তাপ ছিল ভোটের মাঠ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুলিশি অভিযান, হামলা, মামলা আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে জেলার ৪ পৌরসভার বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও ভোটাররা ছিলেন অনেকটাই নীরব। তাছাড়া মৌলভীবাজার সদর ও বড়লেখা পৌরসভা বিএনপি এবং জামায়াতের দুই মেয়র প্রার্থী যাচাই-বাছাই ও আপিলে তাদের বাতিল হওয়া প্রার্থী ফিরে না পাওয়াতে নির্বাচনী মাঠে পড়ে এর বিরূপ প্রভাব । সরকারদলীয় প্রার্থীরা এ দুটি পৌরসভায় তাদের প্রচার প্রচারণা চালালেও হতাশায় পড়েন বিরোধীদলীয় মৌলভীবাজারে বিএনপি চায় ধারাবাহিকতা, মরিয়া আওয়ামী লীগ মৌলভীবাজারের ৪ পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দীর্ঘদিন থেকে বিএনপির দখলে থাকা এ পৌরসভাগুলোর মেয়র পদ পুনরুদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বসে নেই বিএনপি। উভয় দলের নেতাকর্মীরা ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ভোটযুদ্ধে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে। জেলাজুড়ে নির্বাচনী হাওয়া লেগেছে। বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী আমেজ। প্রার্থীদের সরব প্রচারণা সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। এবার প্রথম পৌরসভা নির্বাচন দলীয় প্রতীক ও দলের মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় নানা কারণেই প্রথম দিকে নিরোত্তাপ ছিল ভোটের মাঠ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে পুলিশি অভিযান, হামলা, মামলা আর গ্রেপ্তা আতঙ্কে জেলার ৪ পৌরসভার বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও ভোটাররা ছিলেন অনেকটাই নীরব।
তাছাড়া মৌলভীবাজার সদর ও বড়লেখা পৌরসভা বিএনপি এবং জামায়াতের দুই মেয়র প্রার্থী যাচাই-বাছাই ও আপিলে তাদের বাতিল হওয়া প্রার্থী ফিরে না পাওয়াতে নির্বাচনী মাঠে পড়ে এর বিরূপ প্রভাব। সরকারদলীয় প্রার্থীরা এ দুটি পৌরসভায় তাদের প্রচার-প্রচারণা চালালেও হতাশায় পড়েন বিরোধীদলীয় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এরপর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রার্থী প্রার্থী ফিরে পেলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে। হঠাৎ ঝিমিয়ে পড়া ভোটের মাঠ সরব হয়ে ওঠে। এর পর থেকে শুরু হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। প্রতিদিনই তাদের সমর্থনে দলের স্থানীয় ও জেলার নেতাকর্মী ভোট চাইতে সক্রিয় রয়েছেন মাঠে। শুরু হয়েছে ভোট চাওয়ার প্রতিযোগিতা। প্রার্থীসহ তাদের কর্মীদের রাত-দিন একাকার। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক, ভাইবারসহ সাইবার মাধ্যম ছাড়াও পোস্টার, লিফলেট আর মাইকিং করে প্রচারণা চলছে সমান তালে। শহরের অলিগলি এখন ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের প্রতীক সংবলিত পোস্টার। দলীয় ভোট হওয়ায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত জেলার ৪ পৌরসভায় অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং তাদের দলের নেতারা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। সরকারদলীয় প্রার্থীরা তাদের সরকারের সফলতা ও উন্নয়ন ফিরিস্তি দিয়ে সে ধারায় অব্যাহত রাখতে তাদের পক্ষে ভোট চাইছেন। অন্যদিকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের নানা সমালোচনা আর ব্যর্থতার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তাদের পক্ষে ভোট চাইছেন। এর সঙ্গে সব প্রার্থী পৌর নাগরিকদের দিচ্ছেন নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি। চাইছেন ভোট। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী এবং তাদের দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের এমন প্রতিযোগিতামূলক প্রচারণায় জেলাজুড়ে ফিরেছে ভোটের আমেজ। নিরোত্তাপ ভোটের মাঠ হঠাৎ করে গেল দু-তিন দিন থেকে নীরব থাকা ভোটাররা অনেকটাই সরব হচ্ছেন। ভোটারদের মুখে শোনা যাচ্ছে প্রার্থী নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা, কমলগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সদর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ৪ ও বিএনপির ৪ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও জাতীয় পার্টির ৩ জন, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত একজনসহ ৪ পৌরসভায় মোট ২২ মেয়র প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারণ চালাচ্ছেন। এ ৪ পৌরসভায় অতীতের মতো বিএনপি চায় এ ৪টি আসন ধরে রাখতে। আর আওয়ামী লীগ চায় পুনরুদ্ধার করতে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে এমন প্রত্যাশা নিয়ে উভয় দলের প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। তবে এদিক থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণা এগিয়ে থাকলেও গ্রেপ্তার আতঙ্কে আড়ালে থাকছেন বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী। এ ছাড়া সম্প্রতি রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন তাদের অনেক নেতাকর্মী- এমন অভিযোগ জামায়াত ও বিএনপির জেলা নেতাদের। তাছাড়া তাদের অভিযোগ এখনও নাকি নির্বাচনের আগে দাগি অপরাধী ধরার নামে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাদের দাবি, এটা তাদের রুটিনওয়ার্ক। তাদের এমন অভিযান নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে। কোনো দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি করতে নয়। তবে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত জেলাজুড়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মী গ্রেপ্তার না হলেও তাদের নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হচ্ছেন প্রতিনিয়তই। এমন পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকায় নির্বিঘ্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছেন।
জানা যায়, গত পৌর নির্বাচনে মৌলভীবাজারের ৫টি পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থীরা । তবে এ বছর আইনি জটিলতায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাচন না হলেও বাকি ৪ পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে ৩০শে ডিসেম্বর।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর পৌরসভায় মোট ভোটার ৩৮ হাজার ৭৫৭ জন। গত পৌরসভা নির্বাচনে এ পৌরসভায় মেয়র পদে মোট ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। তারা হলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. ফয়জুল করিম ময়ূন (তালা), প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ১১ হাজার ৪৯৬। আওয়ামী লীগের সাইফুর রহমান বাবুল (দেয়ালঘড়ি), প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৩। আওয়ামী লীগের নাহিদ আহমদ (আনারস), প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৪ হাজার ৭৯৭। মো. হামিদুল ইসলাম (মাইক) পান ৪৯ ভোট। কুলাউড়া পৌরসভার মোট ভোটার ১৮ হাজার ১০০। গত নির্বাচনে এ পৌরসভায় মেয়র পদে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপির কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ (দোয়াত-কলম) প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৮২০। এনামুল ইসলাম (দেয়ালঘড়ি) পান ৩ হাজার ১২৭। আওয়ামী লীগের মো. শফি আলম ইউনুছ (তালা) পান ২ হাজার ৫৬২। মো. মতিউর রহমান (চশমা) ভোট পান ১ হাজার ৬১৮। আওয়ামী লীগের মো. শফিউল আলম শফি (আনারস) পান ৭৫৫ ভোট। বড়লেখা পৌরসভায় ভোটার ১৩ হাজার ৩৩৫। গেল নির্বাচনে এ পৌরসভায় ৫ জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিএনপির মো. ফখরুল ইসলাম (দেয়ালঘড়ি) প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৬৬৭। জামায়াতের খিজির আহমদ (তালা) পান ২ হাজার ৩৮৩। আওয়ামী লীগের মো. রফিকুল ইসলাম (আনারস) পান ২ হাজার ৩৭০। আওয়ামী লীগের মো. আবদুন নূর (চশমা) পান ১ হাজার ৬৫১ ভোট। এম খলিলুর রহমান (দোয়াত-কলম) পান ৫২ ভোট। কমলগঞ্জ পৌরসভার মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৩১ জন। গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করেন। বিএনপির আবু ইব্রাহীম জমসেদ (দেয়ালঘড়ি) পান ৩ হাজার ৩৬৫। আওয়ামী লীগের আফসার সালেহ কেরামত (দোয়াত-কলম) পান ১ হাজার ৭৫৮। বিএনপির হাছিন আফরোজ চৌধুরী (টেলিভিশন) পান ১ হাজার ৩১৩। আওয়ামী লীগের মো. আছলম ইকবাল (আনারস) পান ১ হাজার ১৫৭। জামায়াতের সৈয়দ ইব্রাহীম মো. আবদুহু (কাপপিরিচ) পান ৯৪। বিএনপির ইকবাল পারভেজ চৌধুরী (চশমা) পান ১৯২ ভোট। মো. মুহিবুর রহমান (তালা) পান ১০০ ভোট।
দলীয় প্রতীকে এ বছর পৌর নির্বাচন হওয়ায় বিএনপি তাদের দখল টিকিয়ে রাখতে ভোটারদের মন জয় করতে যেমন তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে, তেমনি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দখলে যাওয়া এ আসনগুলো ফিরে পেতে ভোটের মাঠে রয়েছে সক্রিয়। কেউ কাকে দেবে না ছাড়। এমন মরণপণ প্রত্যয়ে লড়ায় চলছে ভোটের মাঠে। দলীয়ভাবে একক প্রার্থী দেয়ার পরও বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে। বড়লেখা বিএনপির বিদ্রোহী একজন ও আওয়ামী লীগের একজন। কুলাউড়ায় আওয়ামী লীগের একজন। কমলগঞ্জে বিএনপির দুজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে মাঠে রয়েছেন।

তবে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় প্রার্থীরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে অনেকটা বেগ পেতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.