সিলেটপোস্ট২৪রিপোর্ট :পহেলা বৈশাখে যৌন নিপীড়নকারীরা শনাক্ত না হওয়ার পেছনে পুলিশের ‘অনীহা’ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্র ইউনিয়ন।গত ১৪ এপ্রিল বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে নারীদের যৌন নিপীড়নের সময় এই ছাত্র সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দি বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছিলেন। অপরাধীদের বিচার দাবিতে সক্রিয় ছিল সংগঠনটি।পুলিশ প্রথমে পাশ কাটাতে চাইলেও দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে মামলা করে। এই মাসের মাঝামাঝিতে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে পুলিশ বলেছে, ঘটনা সত্য হলেও অপরাধী কাউকে শনাক্ত করা যায়নি।
অপরাধী শনাক্তে ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন বলেছে, “জড়িতদের শনাক্ত করা নিয়ে চলছে প্রশাসনের অনীহা এবং অপারগতা।“পুলিশের এহেন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত অপারগতার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে যায়, নারী নির্যাতনের বিষয়ে এই রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গী কেমন।”ঘটনাটির দিন দুই অপরাধীকে ধরে পুলিশে দেয়ার কথা জানিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন নেতারা দাবি করেন, কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা তাদের ছেড়ে দিয়েছিল। তবে পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।পুলিশ শুরু থেকেই ঘটনাটি আড়াল করতে চেয়েছিল দাবি করে ছাত্র ইউনিয়ন বলেছে, দুর্বার গণআন্দোলনের মুখে ‘বাধ্য হয়ে’ মামলা করাসহ কিছু তৎপরতা তখন দেখিয়েছিল পুলিশ।ঘটনার এক মাস পর ১৭ মে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ছবি দেখে আট নিপীড়ককে চিহ্নিত করার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। তাদের ধরিয়ে দিতে এক লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা দেন তিনি।তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই দীপক কুমার দাস বলেন, সন্দেহভাজন কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়ন বলেছে, “এই ধরনের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে চিহ্নিত অপরাধীদের শনাক্ত করতে না পেরে প্রতিবেদন পেশ করা তদন্তের নামে প্রহসন। এই তদন্ত প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে যৌন নিপীড়নকে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আরো একবার সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা হলো।”