সিলেটপোস্ট ডেস্ক :: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডবের সময় বজ্রপাতে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী শুরু হয়। এ সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাগুলোতে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর এনডিটিভির।
এ ছাড়াও হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় আমতা ও বাগনানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতরা আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মৃতরা হলেন- আমতা থানার শেরপরের বাসিন্দা মহানন্দ ঘুকু (৫৩), আমতা থানার মহম্মদ ইসমাইল (৩৭) ও দেউলগ্রামের বাসিন্দা জুলফিকার হোসেন (২২)৷
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ঝড়বৃষ্টির মাঝে বজ্রপাতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদে তিন, হাওড়ায় তিন, বর্ধমান জেলায় মৃত্যু হয়েছে চারজনের, উত্তর চব্বিশ পরগনায় দুই, পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনজন মারা গেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইজন, সাতক্ষীরায় দুইজন, যশোর, মেহেরপুর, রাজবাড়ী ও ঝিনাইদহে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকেই ঢাকার আকাশে ছিলো ঝলমলে তপ্ত রোদ। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। গরমে হাঁসফাঁস হয়ে ওঠে জনজীবন। বিকেলে হঠাৎ আকাশে সজল সঘন মেঘের ঘনঘটা। সাড়ে ৪টার দিকে আঁধার হয়ে ওঠে প্রকৃতি। শেষ বিকেলেই রাতের অন্ধকার নেমে আসে রাজধানীতে। এতে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হন চালকরা।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। ক্রমে বাড়ে। প্রথমে ধূলিঝড়, এরপর কালবৈশাখীর তাণ্ডব। শেষে বৃষ্টিস্নাত হলো রাজধানী ঢাকা। সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী রাজধানীতে ৭৪ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে ঝড়-বৃষ্টি।