মোঘল সুমন শাফকাত, (বরিশাল)॥ বানারীপাড়া::
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুরের শাখারিয়ায় রুবিনা আক্তার ছবি ও ইয়াছিনের সহযোগীতায় ফজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী গণধর্ষণ হওয়ার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার নং ৬।
মামলার বাদী ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের শাখারিয়া গ্রামের প্রবাসী শহিদের স্ত্রী রুবিনা আকতার ছবির (৩৮) সাথে পাশ্ববর্তী বসবাসকারী খোকন বেপারির স্ত্রী নার্গিস বেগমের সুসম্পর্ক থাকায় ১১ জুন রবিবার রাত সারে দশটার দিকে তিনি বাসায় একা রয়েছেন এমন দাবির প্রেক্ষিতে নার্গিস
বেগমের মেয়ে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ঝর্ণাকে (ছদ্মনাম) তার সাথে ঘুমানোর জন্য অনুরোধ করে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে রাত ১২ টার দিকে রুবিনা আক্তার ছবি মেয়েটিকে মিথ্যা কথা বলে ঘর থেকে বাহির করে একই গ্রামের জলিল হাওলাদারের ছেলে সোহাগ(২৩) ও সায়েদ মোল্লার ছেলে মেহেদীর(২৭) হাতে তুলে দেয়। মেয়েটি ভয়ে ডাক চিৎকার দিতে গেলে মেয়েটির সাথে থাকা ওড়না দিয়ে মুখ বেধে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে পাশেই একটি বসত ঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে মুঠোফোনে। জানাগেছে ঐ বাড়ির মালিক জাকির হোসেন সেনাবাহিনীতে চাকরি করে সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন।
গ্রামের ঘর সম্পত্তি দেখাশোনা জন্য গত ৩ বছর আগে একই গ্রামের ইয়াছিন নামের এক যুবককে দায়িত্ব দেন। রুবিনা আক্তার ছবি ও ইয়াছিন ধর্ষকদের সহযোগিতা করে গরীব অসহায় মেয়েটির এমন সর্বনাশ করায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় চলছে।
এলাকাবাসী ধর্ষকদের ও তাদের সহোযোগিতাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এবিষয়ে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস এম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে সরেজমিনে তদন্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং মেয়েটিকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের
চেষ্টা চলছে।
এ দিকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল মামলা থেকে ধর্ষকদের সহযোগীতাকারী ইয়াছিনের নাম কাটানোর জন্য জোড় তদবির চালাচ্ছে বলে এলাকায় গুঞ্জন চলছে।