জৈন্তাপুর প্রতিনিধি::জৈন্তাপুরে স্যান্ডমার্ক এগ্রোফার্ম লিমিটেড কোম্পানীর মালিকানাধিন ভূমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলবাজ চক্রটি ইতিমধ্যে ঐ কোম্পানীর সীমানার ভিতরে থাকা প্রায় ৩ শতাধিক ফলজ-ঔষধি, আনারস বাগান ও মৎস্য খামার লুটপাট করে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে বলে অভিযোগ করেন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার।
জবর দখলবাজ চক্রটি সম্প্রতি বড় অংকের চাঁদাদাবী করে ইয়াসমিন আক্তারের প্রতিনিধি ও ছোট ভাই এএসএম ফিরোজের কাছে। ২৬ জনের একটি দখলবাজ চক্র জোরপূর্বক ঐ কোম্পানীর ভূমি জবর দখল করে নিতে কয়েকশত ফলজ-বনজ ঔষুধি গাছ ও আনারস বাগানসহ মৎস্য খামার ধ্বংশ করে দিয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে বিচার প্রার্থী হয়ে কোন সু-বিচার না পেয়ে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসমিন আক্তার জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। থানার মামলা নং ১২/২০২৩ ইং (তাং ১৪/৬/২০২৩)। মামলার এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে চক্রের অপর ১৬ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আসামী। এ ব্যায়াপারে চারিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ বলেন বিষয়টি আমি অবগত আছি, কাগজপত্র যার ঠিক থাকবে সেই জায়গার মালিক।
জানা যায়, ২০০৯ সালে ব্যাংকার আব্দুস সাত্তারের সহ ৫ জন লোক ২০০৯ সালে জৈন্তাপুর উপজেলার ভিত্রিখেল এলাকায় স্যান্ডমার্ক এগ্রোফাম লিমিটেড নামে একটি কোম্পানী গঠন করে শতাধিক বিগা জমি খরিদ করেন এবং সেখানে তারা গরুর খামার, মৎস্য খামারসহ বিভিন্ন ফলজ ও বনজ ঔষধি বাগান তৈরী করেন। সেই কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক করা হয় ব্যাংকার আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারকে। ২০১৪ সালে হঠাৎ করে আব্দুস সাত্তার মারা গেলে এই সুযোগে কোম্পানীর অপর অংশিদারগণ কোম্পানীর সকল লভাংশসহ মুলধন আত্মসাৎ করে নিলে এ নিয়ে একাধিক মামলা মোকদ্দমা হয়। সেই সময় সব কয়টি মামলায় ইয়াসমিন আক্তারে পক্ষে রায় হয়। বিগত ২০১৮ সাল থেকে নিজে একাই কোম্পানীটি পরিচালনা করে আসছিলেন ইয়াসমিন আক্তার। তিনি নতুন করে ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা ধারকর্য নিয়ে তৈরী করেন আনারস বাগান, মৎস্য খামার, গরুর খামার, বাঁশ বাগান সহ বিভিন্ন রকম ফলজ ও ঔষধি বাগান। এদিকে ব্যাংক লোন অপর দিকে চাঁদাবাজচক্র কতৃক লুটপাটে দিশেহারা ইয়াসমিন আক্তার।