সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী লাকমা এলাকায় চোরাই পথে অবৈধভাবে ভারতের ভিতরে থেকে কয়লা আনতে গিয়ে মাটি চাপা পড়ে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত যুবকের নাম মো. সুনাম মিয়া(২০) নিহত যুবকটি তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা পশ্চিম পাড় গ্রামের তাহের আলীর ছেলে ।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১১৯৭ এর লাকমা সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় প্রভাবশালী চোরাই কয়লার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী লালঘাট গ্রামের ইয়াবা কালাম মিয়া, লাকমা গ্রামের রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, মোক্তার মহলদার, লেংড়া জামাল,আইনাল মিয়া,নেকবর আলী ও ধুদের আউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়ার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন চোরাকারবারীরা কয়লা শ্রমিককে বিজিবির চোখ ফাঁকি সীমান্তের জিরো পয়েন্টে থাকা চোরাই কয়লার গুহা দিয়ে ভারতের ভিতরে পাঠায় কয়লা আনতে ।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের মতো শুক্রবার ভোরে লাকমা সীমান্ত থাকা ১০/১৫ চোরাই কয়লার গুহার ভিতর দিয়ে ভারতে পাঠায় কয়লার বস্তা আনতে। এ সময় গুহার ভিতর থেকে কয়লা বস্তায় করে বেরিয়ে আসার সময় হঠাৎ গুহার উপরের অংশের মাটির ধসে পড়ে শ্রমিক সুমনের উপর মাটি পড়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরে গুহার ভিতর তার সাথে থাকা অন্য শ্রমিকরা এসে মাটি খোঁড়ে শ্রমিক সুমনকে মৃত্যু অবস্থায় উদ্ধার করে সকাল ১০ টায় তার লাশ গুহার ভিতর থেকে লাকমা গ্রামে বাড়িতে নিয়ে আসে।
এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক সুমনের লাশ একনজর দেখার উৎসুক জনতা ভীড় করছে সুমনের বাড়িতে।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কাজী নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলাসদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে লাকমা সীমান্তের দায়িত্বরত বালিয়াঘাট বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির সরকারি মুঠোফোন ০১৭৬৯৬১৩১২৭ নাম্বারে একাধিকবার কল করলে ও রিসিভ না করায় বিজিবির বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।