মীর শোয়েব, জৈন্তাপুর::কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, শেখ হাসিনা’র সরকার দেশের কৃৃষি সেক্টরের উন্নয়ন ও কৃষি উৎপাদন কাজে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আমাদের দেশের মাটি সোনার মাটি,এখানে কৃষি পণ্য উৎপাদনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে।
কৃষি বৈজ্ঞানিকগণ গবেষণা কাজে এগিয়ে আসায় দেশে নতুন নতুন কৃৃষি পণ্য জাত উদ্ভাবন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃৃষি’তে দেশের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কৃৃষি সেক্টরের গবেষণার ফসল বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষকরা হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রাণ শক্তি। কৃৃষি ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
শেখ হাসিনার সরকার যে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তা কাজে লাগাতে হবে। কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে যেসব চারা বিতরণ করা হয়েছে তা যত্ন করা প্রয়োজন। সিলেট অঞ্চলে অন্তত ৪ লাখ হেক্টর পতিত জমি রয়েছে। এসব অনাবাদী জমি-কে চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
নিজের ভাগ্য ও দেশের পরিবর্তনে তিনি কৃষকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান। সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে আমাদের সবাই-কে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
গত ২রা ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র জৈন্তাপুর আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রে আয়োজিত মাতৃ বাগান তৈরির লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিকট বিএআরআই উদ্ভাবিত বারি বাতাবি লেবু-৫’র চারা হস্থান্তর-বিতরণ উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস,যুগ্ম সচিব পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ফেরদৌসী ইসলাম, যুগ্ম সচিব (গবেষণা ও সম্প্রসারণ ) রেহেনা ইয়াসমিন ,পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. দিলেয়ার আহমদ চৌধুরী, কফি, কাজুবাদাম গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প (বারি অংগ)’র প্রকল্প পরিচালক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলকাফ হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জৈন্তাপুর সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শাহ মো: লুৎফুর রহমান।
সভাপতির বক্তব্যে কৃৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে কৃৃষি সেক্টর অনেক এগিয়ে গেছে। প্রান্তিক চাষীদের কল্যাণ ও জনগণ-কে সেবা দিতে আমরা মাঠে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আপনরা সঠিক সেবা গ্রহন করলে সমৃদ্ধ হবে দেশের কৃষি সেক্টর, বাংলাদেশ হবে একটি উৎপাদন ও সমৃদ্ধশালী দেশ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেট বিভাগের সরোজমিন প্রধান বৈজ্ঞানিক গবেষনা কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলার উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার বিভাগ সুবর্ণা সরকার, জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-বশিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা আক্তার, জৈন্তাপুর কৃৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম এইচ এম বোরহান উদ্দিন ভূইয়া, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ঝুটন চন্দ্র সরকার, ফয়সল আহমদ, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নূরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির খান ।
অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বারি বাতালি লেবু-৫ এবং লেবু জাতীয় ফল বারি কফি-এর চারা হস্থান্তর ও কৃষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। দুপুর ২টায় প্রধান অতিথি সাইট্রাস গবেষনা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও লেবু জাতীয় চারা রোপন করেন।