এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে দেশে বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেকটা কমে গেছে। তারা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপির দাবী দুইটি – একটি হলো প্রধানমন্ত্রীর অপসারণ, দ্বিতীয়টি খালেদা জিয়াকে সাজা না দেয়া।
খালেদা জিয়াকে জেলের সাজা সরকার দেয়নি মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের স্টেপ ডাউন কোন গণতান্ত্রিক সমাজে হয়না । এটা সামরিক শাসনে সম্ভব। নেতৃত্বে অপরিপক্কতার কারণে তারা বারে বারে বিভিন্ন ইস্যু মিস করছে।
নির্বাচন কমিশন এখন শক্তিশালী বলেই আওয়ামীলীগের নির্বাচনি প্রচারণা বিষয়ে কড়াকড়ি করছে। একইভাবে বিএনপির ওপর সমানভাবে কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত, এমন মন্তব্যও করেন মন্ত্রী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২২৭ জন পর্যবেক্ষক ও অসংখ্য সাংবাদিক আসবে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভোট দেব। জনগণ যেভাবে ভোট দিবে তাতেই আমি খুশি, জনগন ভোট না দিলে নাই। এটার সার্টিফিকেট বিদেশীদের কাছ থেকে কেন নিতে হবে? আমেরিকা-ভারতের মতো পৃথিবীর অনেক দেশে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকেনা।
তিনি জানান, মার্কিন পর্যবেক্ষক দলের সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কোন মন্তব্য করে নি। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। আগামীতে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে কিভাবে তিক্ততা কমানো যায়, বিএনপি কেন নির্বাচনে আসেনি – এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে পর্যবেক্ষক দল।
পর্যবেক্ষক দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, আইআরআইয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র উপদেষ্টা জেওফ্রি ম্যাকডোনাল্ড, আইআরআইয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ ও আইআরআইয়ের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডেভিড হোগস্ট্রা।