সিলেটপোষ্ট রিপোর্ট: পদ্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান খান মোহাম্মদ আমীরের দুর্নীতির নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিরুদ্ধে সরকারি জমির ওপর অবৈধভাবে ২৪ তলা ভবন নির্মাণ ও রাজস্ব ফাঁকিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির উপ-পরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম নথিপত্র তলব করে পদ্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়েছেন।দুদকের একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চিঠিতে পদ্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমীরের সব ব্যাংক হিসাব, ভোটার আইডি কার্ড, ভবণ নির্মাণ ও সংশ্লিষ্ট জমির দলিলসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথিপত্র তলব করা হয়েছে। নথিপত্র যাচাই শেষে খুব শিগগিরই তাকে দুদকের তলব করা হবে বলে জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। মোহাম্মদ আমীরের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ ছাড়াও সম্প্রতি অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে দুদকের ওই উপ-পরিচালককে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদকে আসা অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে, পদ্মা পলিকটন ইন্ডাস্ট্রিজ, দিলকুশাস্থ ‘ইউনুস সেন্টার’সহ অন্তত ১৩টি প্রতিষ্ঠানের মালিক খান মোহাম্মদ আমীর রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করেছেন। রাজধানীর দিলকুশায় সরকারি জমির ওপর গড়ে তুলেছেন ২৪ তলা ভবন। ভবনটির এক-তৃতীয়াংশ গড়ে তোলা হয়েছে সরকারি সম্পত্তির ওপর। ভবনটি নিয়ে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও রাজউক নকশা অনুমোদন করেছে।
অন্যদিকে মোহাম্মদ আমীরের নামে-বেনামে তেজগাঁওয়ে পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে। এসবের মূল্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া গুলশান-২ নম্বরে ২২ কাঠার প্লটের ওপর বিশাল বাড়ি, গুলশান শ্যূটিং ক্লাবের পাশে স্ত্রীর নামে ৬ তলা বাড়ি, গুলশান লেকের পাশে ফ্ল্যাটসহ বিপুল সম্পত্তি রয়েছে।