সংবাদ শিরোনাম
ফ্যাসিসদের বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণের কারণ-কয়েস লোদী  » «   সিলেট মহানগর জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আনন্দ মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত  » «   দেশের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসিম-কমিশনার রেজাউল করিম  » «   ফুটপাত দখলমুক্ত আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের সমর্থন, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি  » «   সিলেট মহানগর কৃষক দলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  » «   ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-কয়েস লোদী  » «   ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতার মাহফিল আয়োজনের আহ্বান জানালেন কাইয়ুম চৌধুরী  » «   ক্রীড়াঙ্গন নতুন করে গড়ে তোলার এখনই সময়: মোমিনুল ইসলাম মোমিন  » «   শিক্ষক জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর-জেলা প্রশাসক  » «   পদত্যাগ করার পর যে সব কথা বললেন নাহিদ  » «   জগন্নাথপুরে ভূমিখেকো আ. লীগের সাথে ছাত্রদল নেতা মিলিত হয়ে কৃষক পরিবারকে মারধর ও হয়রানি  » «   ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে মানবাধিকার ও অনুসন্ধান কল্যাণ সোসাইটি  » «   বড়লেখায় সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাই  » «   প্রত্যাশাকে হতাশায় পরিণত করা যাবে না-মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  » «   গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করতে হবে-অলিউজ্জামান সোহেল  » «  

আমাদের আদিবাসী জনগোষ্ঠী

0009সিলেটপোস্ট টোয়েন্টিফোর .কম ডেস্ক : আদিবাসীরা পরিচিত হয় রাষ্ট্রের মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে ভিন্ন নামে। কিন্তু মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েও তারা অদ্ভুত সরল জীবনযাপন করে যায়। প্রতিটি আদিবাসী গোত্রের জীবনযাত্রাই যেন ছবির মত অপূর্ব। শত অভাব-অনটন, প্রতিকূলতার মাঝেও এই মানুষগুলোর সারল্য আজও পবিত্র সেই আগের মতই।

আদিবাসীদের জীবনধারা স্বভাবতই আলাদা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসীগোষ্ঠী হলো চাকমা। তাদের রাজা হন সমাজের প্রধান ব্যক্তি। চাকমারা তাদের গ্রামকে আদাম বলে, গ্রামপ্রধানকে বলে কার্বারী। বৌদ্ধধর্মের অনুসারী এই গোত্রের বর্ণিল বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি হলো বিজু। বিজুর দিনে চাকমাদের ঘরে ঘরে পাঁচন তৈরি হয়, যা পাঁচ রকমের সব্জির মিশেলে একটি বিশেষ পদ। চাকমা মেয়েরা বিজুর দিনে পানিতে ফুল ভাসিয়ে দিয়ে আচার পালন করে থাকে।

সাঁওতালরা এদেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী গোত্র। তারা যে এলাকায় বসবাস করে সেটিকে দেশ বলে। নিজেদের প্রধানকে তারা বলে দেশপ্রধান। তাদের প্রধান উৎসব সোহরাই। এই মানুষগুলো কথা বলে সাঁওতালী ভাষায় যার কোন লিখিত বর্ণমালা নেই।

ত্রিপুরা হলো আরেকটি আদিবাসীগোষ্ঠী যারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত। বৈসুক তাদের মূল উৎসব। এছাড়া কের, কাথারক, গোমতী পূজা, খাচী পূজা, চুমলাই ইত্যাদি নামক আরো কিছু উৎসব তারা পালন করে থাকে। এই গোত্রের লোকেরা কথা বলে কক-বরক ভাষায়।

মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্য একটি আদিবাসী গোত্র হচ্ছে রাখাইন। রাখাইনদের আদি নিবাস ছিলো আরাকান(মিয়ানমার)। তাদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধপূর্ণিমা। জলকেলি উৎসবও রাখাইনরা সাড়ম্বরে পালন করে থাকে। এই গোত্রের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানটি সাংগ্রাই নামে পরিচিত। সাংগ্রাইয়ের দিনে রাখাইনরা ফুল তোলে। যে যতো বেশি ফুল দিয়ে বুদ্ধের অর্চনা করবে তার ততো বেশি পূণ্য হবে, এমনটিই তাদের বিশ্বাস। আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসবটি সামগ্রিকভাবে বৈসাবি উৎসব নামে অভিহিত হয় যা বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিজুর সংক্ষিপ্ত রূপ।

এই আদিবাসী গোত্রগুলো ছাড়াও এদেশে আরো অনেক আদিবাসীগোষ্ঠী রয়েছে। মনিপুরী, গারো, খিয়াং গোত্র তাদের মাঝে অন্যতম। ইসলাম ধর্মাবলম্বী পাঙনরাও আছে আদিবাসীদের প্রতিনিধি হয়ে।

পার্বত্য অঞ্চলের এই সহজসরল মানুষগুলো নানা প্রতিকূলতার মধ্যে থেকেও নিজেদের স্বতন্ত্র জীবনধারা বজায় রেখেছে। প্রতিনিয়ত তারা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে থাকে অথচ তবুও মানুষগুলোর মুখের হাসি অমলিন। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা তাই সবার কাছেই অন্যরকম আকর্ষণ তৈরি করে।

আইএস

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়াার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Developed by:

.