সিলেট পোষ্ট রিপোর্ট : আপনি অনেক মেধাবী। জানেনও প্রচুর। কোনো প্রশ্নেই আটকায় না। তবুও চাকরিটা হচ্ছে না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও কোথায় যেন ভুল হচ্ছে। ইন্টারভিউ দেয়ার সময় চাকরি প্রার্থীরা মারাত্মক কিছু ভুল করে থাকেন। জেনে নেয়া যাক কী সেই ভুল।
প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা না বলা:
অনেকেই প্রশ্নকর্তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না। এটাই চাকরি প্রার্থীর ভঙ্গিমার সবচেয়ে বড় ভুল বলে বিবেচিত হয়। অধিকাংশ চাকরিদাতাই মনে করেন, চাকরি প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় ভুল হল চোখের দিকে না তাকানো।
টেবিলের ওপর খেলা করা:
অনেকে টেবিলের ওপরে এটা ওটা নাড়াচাড়া করেন। হাতের কাছে কিছু ধরার চেষ্টা করেন। এটা খুব বড় ধরণের বদভ্যাস।
হাসতে পারেন না:
ইন্টারভিউ দিতে এসে অনেকেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। গলা শুকিয়ে আসে। তার অপ্রস্তুত ভাবটা মুখেও প্রকাশ পায়। চোখে-মুখে ভয় ও অহেতুক গাম্ভীর্য ফুটে ওঠে। ফলে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে না।
করমর্দনের ক্ষেত্রে দুর্বলতা:
ইন্টারভিউ বোর্ডে থাকা কর্তাব্যক্তির সঙ্গে করমর্দনের ক্ষেত্রেও অনেকের দুর্বলতা রয়েছে। অনেকে আবার খুব জোরে হ্যান্ডশেক করেন যা প্রশ্নকর্তার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।
বসে থাকায় অস্থিরতা:
কারও বসে থাকার মধ্যে অস্থিরতা দেখা যায়। ফলে অনবরত নড়াচড়া করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। নিজের মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ করাও অযোগ্য প্রমাণিত হওয়ার অন্যতম কারণ।
হাত ভাঁজ করে রাখা:
প্রশ্নকর্তার সামনে বসে অনেকেই বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে রাখেন। সাবলিল ভাবে বসতেও পারেন না। অথবা হাত কীভাবে রাখবেন সেটা ঠিক করতে না পেরে নানা রকম করতে থাকেন। এতেও প্রার্থীর অযোগ্যতা প্রমাণিত হয়। ফলে দেখা যায়, প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দিলেও এই একটি ভুলের জন্য চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যায়।
কপাল থেকে চুল সরানো:
অনেকে বার বার কপালের উপর থেকে আঙুলের ফাঁক দিয়ে মাথার দিকে চুল সরাতে থাকেন। কারো চুল বড় থাকলে তা কপালে এসে পড়ে আর তিনি তা বারবার হাত দিয়ে সরিয়ে দেন। এজন্য ইন্টারভিউয়ের আগে চুল কেটে নেয়া উত্তম।
অঙ্গভঙ্গি ও আচরণ:
অনুপযুক্ত অঙ্গভঙ্গি ও আচরণও ব্যর্থতার কারণ। শুধু প্রশ্নের উত্তর কীভাবে দিলেন, তার উপরেই চাকরির সবটুকু নির্ভর করে না। আপনার ভাবভঙ্গি কেমন তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। চাকরিদাতারা বাচনভঙ্গির বাইরের অন্য লক্ষণ দেখেও যোগ্যতা বুঝে নিতে চান।