সিলেট পোস্ট রিপোর্ট : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের পর নির্ঘাত জেল থেকে বাঁচতে অবশেষে মেয়েটিকে বিয়ে করলেন বকুল সরকার। গত দ্ইু দিন ধরে এ নিয়ে মামলা এবং পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পর আত্মগোপন থেকে বের হয়ে আসে ঢাকা মেডিকেলের আনসার সদস্য বকুল। গোপনে যোগাযোগ করে তারা রাজধানীর ডেমরায় কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় আজকে তাদের বিয়ের নিবন্ধন হয়নি। আগামিকাল বিয়ের নিবন্ধন হবে বলে জানান আনসার সদস্য বকুল সরকার।
গত ২২ মে শুক্রবার রাতে প্রেমের ভান করে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণী শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আনসার সদস্যে বকুল সরকার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে না জানিয়ে তার গ্রামের বাড়ি চলে যায় এবং তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার তালাইহাটা গ্রামে তার বাড়ি।
বিয়ে করার আগে তরুণীর সঙ্গে রবিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তখন সে আজই (রবিবার) বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। বলে, আজকেই (রবিবার) আমরা বিয়ে করেছি। আমি এখন ডেমরায় আছি। আমার বাবাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আমি সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চলে এসেছি। গত ২৫ এপ্রিল মেয়েটির বাবা (৫০) পেটের ব্যথা নিয়ে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। ১৬ মে তার বাবার অপারেশন করা হয়। এ সময় অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) গেটের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন বকুল সরকার। ভিকটিম জানান, পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে তিনবার ধর্ষণ করেন বকুল সরকার। পরে বকুল তাকে অস্বীকার করে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। একারনে সে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
জানতে চাইলে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন বলেন, মামলাটির তদন্তভার আমার কাছে এসেছে। গতকাল মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমিও একটি সুন্দর সমাধান চাইছি। যদি তারা বিয়ে করে আমার কাছে আসে তাহলেতো খুবই ভালো। তবে ্আজ পর্যন্ত বিয়ের খবর আমি পাইনি।