সিলেটপোস্ট রিপোর্ট :বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত ড্রোন নীতিমালা অনুযায়ী বিমান বন্দর নেই এমন স্থানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ড্রোন ব্যবহার করা যাবে।বাংলাদেশে মনুষ্যবিহীন উড়ুক্কুযান (ড্রোন) ওড়ানোর নীতিমালা করছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক); এক্ষেত্রে শিশুদের দূর নিয়ন্ত্রিত খেলনা উড়োজাহাজও এর বাইরে থাকতে পারবে না।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনুষ্যবিহীন বিমান তৈরির চেষ্টা নিয়ে বছর দুই আগে সারা দেশে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায় নবীণ গবেষকদের মধ্যে। কিন্তু এরপর জঙ্গিদের ড্রোন বানানোর চেষ্টা এবং বিমানবন্দরে তিন মাসে ৩৮টি ড্রোন আটকের খবরে উদ্বেগও তৈরি হয়।সোমবার সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি মুহম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা জানানো হয়।কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, মো. আফতাব উদ্দীন সরকার এবং রওশন আরা মান্নান সভায় অংশগ্রহণ করেন।সভায় প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর সার্বিক কার্যক্রম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ড্রোন নীতিমালার উপর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর বেতন-ভাতা ও অধিকার ভাতা প্রদানের নীতিমালার উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।কমিটিকে জানানো হয়, ড্রোন নীতিমালার বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ থেকে একটি নীতিমালা প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে নীতিমালা চুড়ান্ত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।সভায় জানানো হয় প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী সামরিক বাহিনী ব্যাতীত অন্য যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে কোনো স্থানে ড্রোন ব্যবহার করতে হলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।সভায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রাইভেট এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে বসে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোচনা করে তাদের প্রস্তাবনাগুলো মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি সুনির্দিষ্ট ড্রোন নীতিমালা প্রস্তুত করার সুপরিশ করা হয়।
দেশের বিভিন্ন বিমান বন্দরে জরুরি ভিত্তিতে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিং এর জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে বিমানের যাত্রীদের সেবার মান উন্নয়নে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।সভায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।