সিলেটপোস্ট ডেস্ক::দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ- বিয়ানীবাজার) আসন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরওয়ার হোসেন। গত ১৫ বছর ধরে তিনি এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বন্যা, করোনাসহ নানা দুর্বিপাকে মানুষের সাহায্যে করে যাচ্ছেন। নিজস্ব অর্থায়নে রাস্তা, কালভার্ট, মসজিদ, মন্দিরে অনুদান দিচ্ছেন। বৃহৎ পরিসরে কাজ করার জন্য এবার সংসদ নিবার্চনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নিবার্চনের শেষ মুহুর্তে এসে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দুই উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ টি উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সরওয়ার হোসেন।
রাস্তাঘাট, ব্রিজ নিমার্ণ ও সংস্কার
সরওয়ার হোসেন বলেন, নিবার্চিত হলে আমার প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন। প্রধান রাস্তাই শুধু নয়, গ্রামীণ ছোট ছোট রাস্তাগুলোও আমার চেনা। সব রাস্তা সংস্কার ও ব্রিজ নিমার্ণ করা হবে। শরীফগঞ্জ ও বাদেপাশা ইউনিয়নে কুশিয়ারা নদীতে ব্রিজ, গোলাপগঞ্জ- বাঘা ব্রিজ, শিকপুর ব্রিজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিমার্ণ করা হবে। এ ছাড়া সিলেট-বিয়ানীবাজার রাস্তা চারলেন করতে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
লুণ্ঠন ও দুবর্ৃত্তায়নের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের থানা, ভূমি অফিস, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে দুবৃত্তরা প্রবেশ করতে পারবে না। থানায় কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর হাতে যাতে এলাকার মানুষ হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এখানে দলীয় পরিচয়ে কেউ আলাদা সুবিধা নিতে পারবে না।
প্রবাসীদের সহযোগিতা
প্রবাসী কেউ যাতে দেশে এবং দেশের বাইরে দূতাবাস কিংবা অ্যাম্বেসিতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকে প্রচেষ্টা থাকবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের জন্য একটি ভবন করে দেবো। তারা এখানে এসে নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে পারবেন।
বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট) গ্রহন
উপজেলা পযার্য়েও বৃহৎ প্রকল্প (মেগা প্রজেক্ট) নেওয়া হয়েছে। নিবার্চিত হলে ইনশাআল্লাহ আমার গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে মেগা প্রজেক্ট নিতে সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি জানান। এ ছাড়া দুই উপজেলার মাঝখানে একটি শিল্পপার্ক করার স্বপের কথা উল্লেখ করেন।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা
নিবার্চিত হলে এ অ লে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে কাজ করবো। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর করে দুই উপজেলার হাসপাতাল দুটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উইনিয়নের উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পযার্প্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও চিকিৎসক নিয়োগ দিতে সবার্ত্মক চেষ্টা করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ও চেতনা বাস্তবায়ন
এখনো অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে বধ্যভূমি, গণকবর, টর্চার সেলসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত অনেক স্থান। সংসদ সদস্য নিবার্চিত হলে, শুধু সরকারি অনুদানই নয় ব্যাক্তিগত তহবিল থেকেও সহযোগিতার হাত থাকবে।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশ
ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে দুই উপজেলায় গড়ে তোলা হবে ‘যুব বিনোদন কেন্দ্র’। যেখানে থাকবে বিভিন্ন ইনডোর গেমসের সুবিধা, মিনি সিনেমা হল, লাইব্রেরি, মাল্টিমিডিয়া সেন্টার, সাহিত্য ও সংস্কৃতি কর্নার, মিনি থিয়েটার । এছাড়া দুটি নান্দনিক স্টেডিয়াম নিমার্ণ করা হবে।
পর্যটন সম্ভাবনা কাজে লাগানো
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে রয়েছে পর্যটনের রয়েছে অপার সম্ভাবনা।এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ দুই উপজেলাকে নান্দনিক রুপ দেওয়া হবে।
কর্মসংস্থান ও বিভিন্ন ধরনের ভাতা
সমাজের সুবিধাব িত, অনাথ, আশ্রয়হীন, জঠিল রোগীদের জন্য সরকারে পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদাণ করা হয়। এসব সম বন্ঠন করা হবে।
এলাকায় কোনো বেকার যুবক-যুবতী থাকবে না, তাদের কর্মক্ষম করে তোলার জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। চাকরির জন্য গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারের ছেলে মেয়েরা ছুটবে না, তারা চাকরি দিবে। উদ্যোক্তা খেঁাজে বের করে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
নদী ভাঙ্গন রোধ
গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে সুরমা ও কুশিয়ারার নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। লুলা খাল পুণঃরুদ্ধার করে বাইপাস রাস্তা করা হবে যাতে বিয়ানীবাজারে যানজট সৃষ্টি না হয়। এ ছাড়া নদীর তীর সংরক্ষণ করে অবকাশ যাপনের জন্য বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।