ওসমানীনগর প্রতিনিধি::আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিলেটের ওসমানীনগরে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সরিষা, সূর্যমুখি ও শীতকালীন পেঁয়াজসহ ৮ জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (১১ নভেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিষদ মিলনায়তনে ৮ টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৯’শ ৫৫ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে গম, ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ ও মসুর ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ১ হাজার ৯’শ ৫৫ জন কৃষকদের মধ্যে ৭০ জনকে ২০ কেজি গম বীজ,১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার। ৪৫ জনকে ২ কেজি ভূট্টা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার । ১ হাজার ৬’শ জনকে ১ কেজি সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার । ২’শ জনকে ০১ কেজি সূর্যমুখী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার । ১০ জনকে ১০ কেজি চিনাবাদাম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ০৫ কেজি এমওপি সার । ১৫ জনকে ০১ কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার । ১০ জনকে ৫ কেজি মুগ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ জনকে ৫ কেজি মসুর বীজ,১০ কেজি ডিএপি সার এবং ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা রায়হানার সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উম্মে তামিমার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দাল মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) জাহানারা বেগম,সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুছা,উছমানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ালী উল্লা বদরুল, উপজেলা কৃষি সম্পসারণ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান আজাদ,উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আরিফ রব্বানী,উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক জুবায়ের আমিন, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার রাসায়নিক সারসহ সকল আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি প্রদান করে যাচ্ছে। তার পরও অনেকেরই বাড়িতে খালি জমি পড়ে রয়েছে আমাদের অলসতার কারনে আমরা চাষ করি না। যার জন্য বাজারে শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হলে কোন জমি খালি রাখা যাবে না, প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল আবাদের জন্য কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে।